আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপির আন্দোলন মানে আগুন সন্ত্রাস। জঙ্গিবাদের পৃষ্ঠপোষক, সাম্প্রদায়িকতার বিশ্বস্ত ঠিকানা হচ্ছে বিএনপি।
বিএনপির সমাবেশকে ঘিরে মানুষ আতঙ্কগ্রস্ত উল্লেখ করে তিনি বলেছেন, তারা জানান দিচ্ছে আন্দোলনে সহিংসতার উপাদান যুক্ত করবে। আমরা ক্ষমতায় আছি, অশান্তি চাইনা।
শুক্রবার (২ ডিসেম্বর) বিকেল সাড়ে চারটার দিকে নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের বসুরহাট এএইচসি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির হিসেবে যুক্ত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বক্তব্যের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, তারেক রহমান বলে হাসিনা পালাবে, মন্ত্রীরা পালাবে। কিন্তু সে যে ১৪ বছর পালিয়ে আছে সে কথা বলেনা কেন। আমরা বিএনপি’র চেয়ারপার্সনকে বেগম খালেদা জিয়া বলি। কিন্তু তারা সম্মানের সঙ্গে নেত্রীর নামটা উচ্চারণ করেনা।
কাদের বলেন, জিয়উর রহমান বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছে, ২১ আগস্ট তারেক শেখ হাসিনাকে মারতে চেয়েছে। মুফতি হান্নান বলেছে, হাওয়া ভবন থেকে তার নির্দেশ পেয়ে গ্রেনেড হামলা করেছে। কাপুরুষের মতো পালিয়ে যাওয়া তারেক রহমানের লোকেরা এখন আমাদের ভয় দেখান তিনি নাকি বীরের মতো আসবেন!
সেতুমন্ত্রী বিএনপির ১০ ডিসেম্বরের সমাবেশকে উদ্দেশ্য করে বলেন, যেখানে পাকহানাদার বাহিনীরা আত্মসমর্পণ করেছে, দুনিয়ার ইতিহাসে অন্যতম সেরা ভাষণ, স্বাধীনতার ডাক, সেই স্মৃতি যেখানে সেখানে তাদের ভয় কেন। কারণ তারা মনে, চেতনায়, হৃদয়ে মুক্তিযুদ্ধকে ধারণ করেন না, এটাই তার প্রমাণ।
তিনি বলেন, পুরান ঢাকার এক তরুণ নেতার সঙ্গে কনভারসেশন অর্থ পাচারে দণ্ডিত তারেক রহমানের ভিডিও ক্লিপ পেয়েছি।
এ সময় সেতুমন্ত্রী কোম্পানীগঞ্জের আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের মধ্যে বিবদমান দ্বন্দ্বের জের ধরে ঘটে যাওয়া সংঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ী ও এলাকাবাসীর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করেন।
এর আগে বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে জাতীয় পতাকা ও দলীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে সম্মেলনের উদ্বোধন করেন নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের আহবায়ক অধ্যক্ষ এএইচএম খায়রুল আনম সেলিম।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশকে ২৫ কোটি ডলার ঋণ দিচ্ছে বিশ্ব ব্যাংক
এতে সভাপতিত্ব করেন কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা খিজির হায়াত খান। সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন এমপি, এসএম কামাল হোসেন, আওয়ামী লীগের কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী, আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, যুগ্ম-আহবায়ক শিহাব উদ্দিন শাহীন, শহীদুল্লাহ খান সোহেল, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাহাব উদ্দিন প্রমুখ।
সম্মেলনের দ্বিতীয় অধিবেশনে সেতুমন্ত্রীর ছোট ভাই বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আব্দুল কাদের মির্জাকে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদলকে সাধারণ সম্পাদক ঘোষণা করা হয়।
একাত্তর/এসি
মন্তব্য
এই নিবন্ধটি জন্য কোন মন্তব্য নেই.