পরমাণু সমঝোতা পুনর্বহালের ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্র যে শর্ত দিয়েছে তা যদি তেহরান প্রত্যাখ্যান করে তাহলে বাইডেন প্রশাসন ইরানের বিরুদ্ধে সামরিক ব্যবস্থা নিতে আগ্রহী বলে মন্তব্য করেছেন ইরান বিষয়ক মার্কিন বিশেষ দূত রবার্ট ম্যালি।
ইরানের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম পার্সনিউজ শনিবার (ডিসেম্বর) জানায়, মার্কিন সংবাদমাধ্যম ‘ফরেন পলিসি’কে দেয়া সাক্ষাৎকারে রবার্ট ম্যালি একথা বলেন।
ওই সাক্ষাৎকারে রবার্ট ম্যালি বলেন, পরমাণু সমঝোতা বিষয়ে ইরান এবং অন্যরা যদি ওয়াশিংটনের সঙ্গে চুক্তিতে পৌঁছাতে ব্যর্থ হয় তাহলে তেহরানের বিরুদ্ধে সামরিক ব্যবস্থা নেয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে ওয়াশিংটন।
ম্যালি আরও বলেন, পরমাণু চুক্তি সম্পর্কিত শর্তগুলো মেনে নেয়ার ব্যাপারে ইরানের উপর নজিরবিহীন চাপ সৃষ্টি করেছে ওয়াশিংটন।
ইরান বিষয়ক এ মার্কিন দূত বলেন, আমি মনে করি প্রেসিডেন্ট বাইডেন এটি পরিষ্কার করেছেন যে, আমাদের অগ্রাধিকার হচ্ছে কূটনীতি। এটিই প্রমাণিত ও সেরা পথ। আমরা এখন ইরানের উপর আন্তর্জাতিক চাপ প্রয়োগের কৌশল ব্যবহার করছি যা ইরান বহুবছর ধরে দেখেনি।
আরও পড়ুন: মেসির চিন্তায় নিজ দল আর সকারুদের চিন্তায় মেসি!
এ বিষয়ে তেহেরানের পক্ষ থেকে এখনও কোনো মন্তব্য না এলেও নিজেদের সামরিক ক্ষমতা জোরদার করতে নানা পদক্ষেপ নিয়েছে ইরান।
গেলো সোমবার তেহরানে ইরানের ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনী বা আইআরজিসির অ্যারোস্পেস ফোর্সের কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আমির আলী হাজিজাদে বলেছেন, সম্প্রতি উন্মোচন করা ইরানের সুপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্রগুলো আমেরিকা, ইহুদিবাদী ইসরাইল ও তাদের মিত্রদের ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে বহু দশক ধরে অকার্যকর করে রাখবে।
অন্যদিকে দেশটির ক্ষমতাসীন সরকার বলছে, ইরান আগের চেয়ে অনেক বেশি শক্তিশালী দেশ। শত্রুর যেকোনো আক্রমণের জবাব দিতে প্রস্তুত তারা।
এর আগে ইরান ২০১৫ সালে যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স, জার্মানি, ব্রিটেন, রাশিয়া এবং চীনের সাথে পারমাণবিক চুক্তি সই করেছিল। চুক্তি অনুযায়ী ইরানের উপর থেকে অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার বিনিময়ে জাতিসংঘের পরিদর্শকদের নজরদারিতে ইরান ইউরেনিয়াম বিশুদ্ধিকরণ সীমিত করতে সম্মত হয়েছিল।
কিন্তু ২০১৮ সালে তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প একতরফাভাবে যুক্তরাষ্ট্রকে চুক্তি থেকে প্রত্যাহার করে নিয়েছিলেন, বলেছিলেন যে তিনি একটি কঠোর চুক্তির জন্য আলোচনা করবেন, কিন্তু তা ঘটেনি। পরে ইরান এক বছর পর ওই চুক্তির শর্ত ভঙ্গ করা শুরু করে।
একাত্তর/আরবিএস
মন্তব্য
এই নিবন্ধটি জন্য কোন মন্তব্য নেই.