কিশোরগঞ্জে নিয়মিত মামলার আসামি ধরতে গিয়ে বিএনপি নেতাকর্মীদের হামলায় তিন পুলিশ পরিদর্শক, এক কনস্টেবল ও বিএনপির কয়েকজন কর্মী আহত হয়েছেন। এসময় পুলিশের একটি গাড়ি ভাঙচুর ও চারটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। হামলায় জড়িত থাকার অভিযোগ বিএনপির সাত কর্মীকে আটক করেছে পুলিশ। আহতদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
শনিবার (৩ ডিসেম্বর) জেলার হোসেনপুর উপজেলার পৌরসভার নতুন বাজার এলাকায় বিএনপি কার্যালয়ের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়র জানিয়েছেন, সন্ধ্যায় দলীয় কার্যালয়ে উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক অ্যাডভোকেট মনজুরুল ইসলাম জুয়েলের নেতৃত্বে শতাধিক বিএনপির নেতাকর্মী জড়ো হন। আগামী ১০ ডিসেম্বর ঢাকায় বিএনপির সমাবেশের প্রস্তুতি সভা শেষে বিএনপির নেতাকর্মীরা শহরের কুড়িঘাট এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল করেন।
এসময় সেখানে পুলিশ উপস্থিত হলে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। এক পর্যায়ে নিয়মিত মামলার আসামি বিএনপি নেতা খুররম খানকে পুলিশ গ্রেপ্তার করতে চায়। তখন বিএনপির নেতাকর্মীরা উত্তেজিত হয়ে পুলিশের ওপর হামলা চালায়। এতে তিন পুলিশ পরিদর্শক ও এক পুলিশ সদস্য আহত হন। এসময় বিএনপির কয়েকজন কর্মী আহত হন।
আরও পড়ুন: ১০ ডিসেম্বরের সমাবেশে বিএনপি’র বদ মতলব আছে: কাদের
তারা জানান, এসময় উত্তেজিত নেতাকর্মীরা পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর ও চারটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিতে অন্তত ১৯ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোড়ে।
এ বিষয়ে উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক অ্যাডভোকেট মনজুরুল ইসলাম জুয়েল জানান, ১০ ডিসেম্বর সমাবেশকে সফল করতে আমরা প্রস্তুতি সভা করি। সভা শেষে চা চক্রের সময় পুলিশ অফিসে এসে সাত জনকে ধরে নিয়ে যায়। পুলিশের ওপর হামলা ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা পুলিশের সাজানো।
হোসেনপুর থানার অফিসার ইনচার্জ আসাদুজ্জামান টিটু জানান, নিয়মিত মামলার আসামি ধরতে গিয়ে পুলিশ হামলার শিকার হয়েছে।
একাত্তর/এসি
মন্তব্য
এই নিবন্ধটি জন্য কোন মন্তব্য নেই.