দুর্দান্ত খেলা উপহার দিয়ে জাপান ও ক্রোয়েশিয়া উভয় দলই এক-এক গোল করে। শেষ পর্যন্ত লড়াই গড়ায় টাইব্রেকার নামক ভাগ্য পরীক্ষায়। সেখানে চাপ নিতে পারলো না এশিয়ার দেশটি। তিন-তিনটি সেভ করে ব্যবধান গড়ে দিলেন দমিনিক লিভাকভিচ। ফলাফলে বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে উঠলো ক্রোয়াটরা।
সোমবার (৫ ডিসেম্বর) স্নায়ু ক্ষয়ের এই লড়াইয়ে জাপান হেরেছে ৩-১ গোলের ব্যবধানে।
এই হারে প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে ওঠার স্বপ্ন হাতছাড়া হলো সূর্যদয়ের দেশটির। ২০০২ ও ২০১০ ও ২০১৮ বিশ্বকাপের মতো এবারও শেষ ষোলো থেকে বিদায় নিল এশিয়ার দলটি।
দুই দলই আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণের মধ্য দিয়ে খেলা শুরু করেছিল। এর মধ্যেই ৪৩ মিনিটে বক্সের জটলার মধ্য থেকে গোল করে জাপানকে এগিয়ে দেন দায়েন মায়েদা। ক্রোয়েশিয়া এই গোল শোধ করেছে বিরতির পর ৫৫ মিনিটে ইভান পেরিচিসের গোলে।
এরপর কোনো গোল না হওয়ায় ম্যাচ গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে—এবার বিশ্বকাপে শেষ ষোলোয় যা প্রথম। বিশ্বকাপ ও ইউরো মিলিয়ে নকআউটপর্বে এবারসহ মোট ৮ ম্যাচের মধ্যে ৭টি-ই অতিরিক্ত সময়ে নিয়েছে ক্রোয়েশিয়া।
১০৫ মিনিটের মাথায় কাউরু মিতোমার শট ক্রোয়াট গোলকিপার ডমিনিক লিভাকোভিচ অবিশ্বাস্যভাবে রুখে না দিলে ফলটা অন্যরকমও হতে পারতো।
আরও পড়ুন: এমবাপের কারণে ফ্রান্সকে ফিফার জরিমানা
অতিরিক্ত সময়ের দ্বিতীয়ার্ধেও সেভাবে আক্রমণ করেনি কোনো দল। কোভাচিচ-বুদিমিররা এ সময় দুটো সুযোগ পেলেও কাজে লাগাতে পারেননি। বোঝাই যাচ্ছিল, সাবধানে খেলে ম্যাচটা টাইব্রেকারে নেওয়াই লক্ষ্য।
শেষ পর্যন্ত টাইব্রেকারে জাপানের স্বপ্নভঙ্গ করে কোয়ার্টার ফাইনালে ওঠে ক্রোয়েশিয়া। ৩-১ গোলে জয় নিশ্চিত হয় ক্রোয়াটদের।
একাত্তর/আরএ
মন্তব্য
এই নিবন্ধটি জন্য কোন মন্তব্য নেই.