কাতারের লুইসাল স্টেডিয়ামে কোয়ার্টার ফাইনালে চরম উত্তেজনা ও নাটকীয় ম্যাচে ট্রাইব্রেকারে ৪-৩ গোলে জয় তুলে নেয় আর্জেন্টিনা। নেদারল্যান্ডের সাথে জয়ী হয়ে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করেছে মেসি বাহিনী। কিন্তু ম্যাচটিতে দুই দল মিলিয়ে ১৬টি হলুদ কার্ড দেখিয়ে সমালোচনার মুখে পড়েছেন স্প্যানিশ রেফারি আন্তোনিও মাতেও লাহোজ।
কোয়ার্টার ফাইনালের এমন এক ম্যাচের পর রেফারি আন্তোনিওকে পরবর্তী ম্যাচগুলো থেকে বাদ দিতে ফিফার প্রতি আহ্বানও জানিয়েছেন আর্জেন্টাইন ক্যাপ্টেন।
অন্যদিকে ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধে ১০ মিনিট ইনজুরি টাইমের একেবারে শেষ মুহূর্তে নেদারল্যান্ডকে ফ্রি-কিক উপহার দেয়ার বিষয়টিও ছিল বিতর্কিত। ঐ ফ্রি-কিক থেকেই বদলী স্ট্রাইকার ওট ওয়েহর্স্টের গোলে ডাচরা ২-২ গোলের সমতায় ফিরে। এই ফ্রি-কিকের বিপক্ষে প্রতিবাদ করতে গিয়ে লিওনেল মেসিকে হলুদ কার্ড দেখতে হয়েছে।
ম্যাচ শেষে রেফারির সমালোচনা করে মেসি বলেছেন, তারা যখন সমতায় ফিরলো তখন আমার খুব রাগ হয়েছিল। আমি রেফারির সাথে কথা বলতে চাইনি। আমি জানি সবাই দেখেছে কি ঘটেছে। ফিফা এখন বিষয়টি পর্যালোচনা করবে বলে আমি মনে করি। এই ধরনের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে এমন একজন রেফারিকে দায়িত্ব দেয়াটা সঠিক হয়নি বলেই আমি মনে করি।
আরও পড়ুন: ব্রাজিলের বিদায়ের পর কোচের দায়িত্ব ছাড়লেন তিতে
মেসি আরও বলেন, তারা তাদের দায়িত্ব মোটেই সঠিকভাবে পালন করেনি। আমরাও ভাল খেলিনি। আর সেই সুযোগে রেফারি ম্যাচটি অতিরিক্ত সময়ে নিয়ে যায়। পুরো ম্যাচেই রেফারি আমাদের বিপক্ষে ছিল। সবশেষ ফ্রি-কিকটি মোটেই ফাউল ছিলনা।
অন্যদিকে নেদারল্যান্ডের উইং-ব্যাক ডেনজেল ডামফ্রাইস পেনাল্টির পর দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখেছেন। ৭৩ মিনিটে পেনাল্টি থেকে মেসি টুর্নামেন্টের চতুর্থ গোল করেছেন।
মেসি বলেন, আমরা কখনই অতিরিক্ত সময় কিংবা পেনাল্টিতে যেতে চাইনি। সবাই দেখেছে আজ মাঠে কি হয়েছে, আমরা খুবই কষ্ট পেয়েছি। বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে এভাবে একটি দলকে বিদায় নিতে হলে তা অত্যন্ত কষ্টদায়ক হতো। কিন্তু সব কিছুর পরেও এখন আমরা সেমিফাইনালে।
একাত্তর/আরবিএস
মন্তব্য
এই নিবন্ধটি জন্য কোন মন্তব্য নেই.