ঢাকা ২৮ মে ২০২৩, ১৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩০

শেষ আটের অগ্নিপরীক্ষায় ফ্রান্সের মুখোমুখি ইংল্যান্ড

একাত্তর অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ১০ ডিসেম্বর ২০২২ ২০:০৪:৩৫
শেষ আটের অগ্নিপরীক্ষায় ফ্রান্সের মুখোমুখি ইংল্যান্ড

কাতার বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালের হাই ভোল্টেজ ম্যাচে আল বায়াত স্টেডিয়ামে আজ রাত ১টায় মুখোমুখি হবে ইংল্যান্ড ও বর্তমান বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ফ্রান্স। উড়ন্ত ফেঞ্চদের সামনে দানবীয় ব্রিটিশরা কতোটা দাপট দেখাতে পারবে, তা নিয়ে দুই দলের সমর্থকদের মধ্যে টান টান উত্তেজনা বিরাজ করছে। 

এর আগে রাউন্ড অব সিক্সটিনের ম্যাচে ইংল্যান্ড সেনেগালকে ৩-০ গোলে ও ফ্রান্স ৩-১ গোলে পোল্যান্ডকে হারিয়ে শেষ আটে উঠে আসে।

ফুটবল সংশ্লিষ্টদের মতে, আজকের ম্যাচ জয়ী দল হবে বিশ্বকাপের অন্যতম দাবিদার। শেষ আটে ফুল ফিট স্কোয়াড পাচ্ছে দু'দলই। 

ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ম্যাচের আগে ফরাসি কোচ দিদিয়ে বলেন, আমাদের দলের সকলেই টুর্নামেন্টের শুরু থেকেই শান্ত, ধীরস্থির। এটা কোয়ার্টার ফাইনাল, ম্যাচটাও গুরুত্বপূর্ণ। তবে বাড়তি চাপ নেওয়ার মতো কিছু নয়। লক্ষ্য অবশ্যই শেষ চারে যাওয়া। তার জন্য এই ম্যাচটাকেও উপভোগ করতে হবে।

আজকের ম্যাচের অন্যতম নির্ণায়ক হতে পারে গতি। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, শুধু এই ম্যাচের ক্ষেত্রে নয়, যে কোনো ম্যাচের ক্ষেত্রেই গুরুত্বপূর্ণ। অনেক ম্যাচেই নির্ণায়ক ভূমিকা নেয়। গোল করার ক্ষেত্রে গতি জরুরি নাও হতে পারে। তবে দ্রুত আক্রমণে উঠলে প্রতিপক্ষর কাছে খুব কম সময় থাকে গুছিয়ে নেওয়ার। ইংল্যান্ড খুবই শক্তিশালী প্রতিপক্ষ। ওরা ধারাবাহিক ভালো খেলছে।


যদিও কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে বিদায় নেয়াটা ইংল্যান্ডের জন্য নিয়মে পরিণত হয়েছে। ১৯৫৪, ১৯৬২, ১৯৭০, ২০০২ ও ২০০৬ সালেও কোয়ার্টার থেকে বিদায় নিতে হয়েছিল ইংলিশদের। শেষ আটটি বিশ্বকাপের ছয়টিতেই ইউরোপিয়ান কোনো দলের সঙ্গে হেরে টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নিয়েছে হ্যারি কেইনরা। 

অন্যদিকে শেষ সাতটি আসরের পাঁচটিতেই ফ্রান্স কোয়ার্টার ফাইনালে খেলছে। এর মধ্যে রয়েছে শেষ তিনটি বিশ্বকাপ। এমন পরিসংখ্যানের সঙ্গে রয়েছে এমবাপে-জিরুদের মতো খেলোয়াড়রা।  


তবে কাতার বিশ্বকাপে এখন পর্যন্ত কোনো ম্যাচে গোল হজম না করে মাঠ ত্যাগ করেনি ফ্রান্স। ফলে ফরাসি ডিফেন্স নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন সমর্থকরা। 

বিশ্বকাপে ফ্রান্স ও ইংল্যান্ডের দেখা হয়েছে অনেকবার। ১৭টিতে ইংল্যান্ড ও ৯টিতে ফ্রান্স জিতেছে। আর ৫ ম্যাচ হয়েছে ড্র। ১৯৬৬ ও ১৯৮২ বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের সঙ্গে দুটি ম্যাচেই পরাজিত হয়েছিল ফ্রান্স। এমবাপেরা এ সমীকরণ কতোটা বদলে দিতে পারবেন এখন সেটাই দেখার বিষয়। 


একাত্তর/আরবিএস  

মন্তব্য

এই নিবন্ধটি জন্য কোন মন্তব্য নেই.

আপনার মন্তব্য লিখুন

Nagad Ads