অনুর্ধ-১৯ নারী বিশ্বকাপ ক্রিকেটের গ্রুপ পর্বে টানা তিন ম্যাচে জিতে সুপার সিক্সে পৌঁছে গেছে বাংলাদেশ দল। গ্রুপ পর্বের তৃতীয় ম্যাচে বাংলাদেশের মেয়েরা পাঁচ উইকেটে যুক্তরাষ্ট্রকে হারিয়ে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হবার কৃতিত্ব দেখায়। ম্যাচ সেরা হয়েছে বাংলাদেশের অধিনায়ক দিশা বিশ্বাস।
বুধবার (১৮ জানুয়ারি) দক্ষিণ আফ্রিকার বেনোনি-উইলোমুর পার্কে ফিল্ডে টস জিতে আগে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নেয় যুক্তরাষ্ট্র। বাংলাদেশের সাড়াশি আক্রমণের মুখে যুক্তরাষ্ট্র ১০৩ রানের বেশি করতে পারেনি। জবাবে ১৫ বল হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় বাংলাদেশ।
লাস্য মুল্লাপুদি ও দিশা ধিংড়ার উদ্বোধনী জুটিতে বেশি সুবিধা করতে পারে নি যুক্তরাষ্ট্র। দলীয় ১১ রানের মাথায় ১২ বলে ৫ রান করে দিশা বিশ্বাসের শিকারে পরিণত হন ওপেনার লাস্য মুল্লাপুদি। এরপর স্নিগ্ধা পলকে সাথে নিয়ে রানের চাকা সচল রাখেন দিশা ধিংড়া।
তবে দলীয় ৬৮ রানের মাথায় জোড়া আঘাত করে বাংলাদেশ। প্রথমে দিশাকে রান আউটের ফাঁদে ফেলেন স্বর্ণা আক্তার। ৩০ বলে ২০ রান করেন দিশা ধিংড়া। এরপর ৩৭ বলে ২৬ রান করা স্নিগ্ধা পলকে ফিরিয়ে দেন দিশা বিশ্বাস।
দলীয় ১০৩ রানের মাথায় চতুর্থ উইকেট পড়ে যুক্তরাষ্ট্রের। ইনিংসের শেষ ওভারে ১৬ বলে ১৬ রান করে মারুফা আক্তারের শিকারে পরিণত হন অধিনায়ক গীতিকা কোদালি। ইসানি ভাঘেলার ১৭ বলে অপরাজিত ১৭ রানে শেষ পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের ইনিংস থামে ১০৩ রানে।
বাংলাদেশের পক্ষে দিশা বিশ্বাস ২টি ও ১টি উইকেট শিকার করেন মারুফা আক্তার।
১০৪ রানের টার্গেটে খেলতে নেমে জয়ের জন্য ভালই পরীক্ষা দিতে হয়েছে বাংলাদেশকে। দলীয় ১৯ রানের মাথায় ১২ বলে ১০ রান করে স্নিগ্ধা পলের শিকারে পরিণত হন ওপেনার সুমাইয়া আক্তার। ২১ রানের মাথায় দ্বিতীয় উইকেট পড়ে বাংলাদেশের।
অদিতিবা চুদাসামার বলে ১০ বলে ৭ রান করে সাজঘরে ফেরেন আফিয়া প্রত্যাশা। এরপর দিলারা ও স্বর্ণা আক্তারের ব্যাটে ভর করে সচল থাকে রানের চাকা। তবে ৫৯ রানের মাথায় বাধ সাধেন সাই তন্ময় আয়ুন্নি। ১২ বলে ১০ রান করা স্বর্ণা আক্তারকে সাজ ঘরে ফেরান তিনি।
৬৪ রানের মাথায় চতুর্থ আঘাত করেন ভূমিকা ভদ্রিরাজু। ১৫ বলে ১৭ রান করা দিলারা আক্তারকে ফিরিয়ে দেন তিনি। দলীয় ৮৬ রানের মাথায় পঞ্চম উইকেট পড়ে বাংলাদেশের। ১৭ বলে ১০ রান করা অধিনায়ক দিশা বিশ্বাসকে ফাঁদে ফেলেন অদিতিবা চুদাসামা।
শেষ পর্যন্ত রাবেয়া খান ২৪ বলে ১৮ ও মিষ্টি সাহার ১৩ বলে ১৪ রানের অপরাজিত ইনিংসে ৫ উইকেট ও ১৫ বল হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় বাংলাদেশ।
একাত্তর/এআর
মন্তব্য
এই নিবন্ধটি জন্য কোন মন্তব্য নেই.