ঢাকা ২৮ মে ২০২৩, ১৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩০

আধুনিক সমরাস্ত্রের পরীক্ষাগার হয়ে উঠছে ইউক্রেন

মাহফুজুর রহমান, একাত্তর
প্রকাশ: ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ১৭:২৪:৪২
আধুনিক সমরাস্ত্রের পরীক্ষাগার হয়ে উঠছে ইউক্রেন

যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা মিত্রদের অস্ত্র সত্যিকারের যুদ্ধক্ষেত্রে কতটা ভালোভাবে কাজ করতে পারে, তা দেখার একটি সুযোগ করে দিয়েছে ইউক্রেন যুদ্ধ। 

আর আধুনিক যুগের লড়াইয়ে জয় পেতে উভয় পক্ষ কী ধরনের অস্ত্র, সরঞ্জাম বা কৌশল ব্যবহার করছে, তাও পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। ইরানের কামাকাজি ড্রোনের সাফল্যও বিস্মিত মার্কিনীরা। অর্থাৎ বাস্তব যুদ্ধে অস্ত্রের পরীক্ষাগার হয়ে উঠেছে ইউক্রেন। 

ইউক্রেনকে দেয়া সুইচব্লেড থ্রি হান্ড্রেড ড্রোন ও রাডার সিস্টেমে হামলা চালাতে পারে এমন ক্ষেপণাস্ত্রের মত ‘হাই-প্রোফাইল’ মার্কিন সমরাস্ত্র প্রত্যাশার তুলনায় কম কাজে দিয়েছে।

তবে, যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি হালকা ওজনের হিমারস মিসাইল আবার ইউক্রেনের সফলতার পেছনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। 

এমনকি এই ধরনের অস্ত্রের ব্যাপক ব্যবহারের ক্ষেত্রে কতোটা মেরামত প্রয়োজন হয়, আর রক্ষণাবেক্ষণ কতটা লাগে, সে বিষয়েও গুরুত্বপূর্ণ ধারণা পেয়েছেন মার্কিন কর্মকর্তারা।

হিমারস দিয়ে রুশ নিয়ন্ত্রিত এলাকায় ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে কিয়েভ। মস্কোর কমান্ড পোস্ট, হেডকোয়ার্টার আর সামরিক ডিপোতে আক্রমণ চালানোও ছিল অপ্রত্যাশিত। 

যুদ্ধক্ষেত্রের এসব তথ্য রীতিমত মার্কিন সমরবিদদের চোখ খুলে দিয়েছে, কারণ এসব জানতে তাদের বছরের পর বছর গবেষণা করতে হত। 

এছাড়া, এম ট্রিপল সেভেন হাউইটজারের বিষয়েও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এটি দিয়ে অল্প সময়ে বেশি শেল নিক্ষেপ করা হলে কামানের লক্ষ্যভেদের হার ও কার্যকারিতা কমে যায়। 

ইউক্রেনের কমান্ডাররা তাদের পদাতিক বাহিনীকে ছোট ছোট সেনা দলে বিভক্ত করে পাল্টা হামলা চালিয়েছেন। 

কাঁধে স্টিংগার ও জ্যাভেলিন রকেট লঞ্চার নিয়ে পদাতিক বাহিনীর সহায়তা ছাড়াই অতর্কিতে রাশিয়ার ট্যাঙ্কগুলোর কাছাকাছি গেছে। যা পশ্চিমাদের অবাক করে দিয়েছে।

একুশ শতকের বিশ্বে আধুনিক দুটি দেশের মধ্যে কীভাবে যুদ্ধ হয় এবং তা কী ফল বয়ে আনতে পারে, সেটি খুব নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে যুক্তরাষ্ট্রও।

আরও পড়ুন: ইউক্রেনকে উন্নত যুদ্ধবিমান দিতে যুক্তরাজ্যের অস্বীকৃতি

গোয়েন্দার বলছে, সব দিক বিবেচনা করে ইউক্রেন বাস্তব অর্থেই একটি অস্ত্রের গবেষণাগার হয়ে উঠেছে, কারণ এসব অস্ত্র ও সরঞ্জামের কোনোটিই এর আগে শিল্পোন্নত দুটি দেশের মধ্যে যুদ্ধে ব্যবহৃত হয়নি কখনও। তাদের ভাষায়, এটা ‘বাস্তব যুদ্ধে যুদ্ধাস্ত্রের পরীক্ষা’।

আর ইউক্রেনের যুদ্ধ মার্কিন সামরিক বাহিনীর জন্য তাদের নিজস্ব যুদ্ধাস্ত্র ও সরঞ্জামের প্রায়োগিক সুবিধা অসুবিধার তথ্য পাওয়ার দারুণ এক উৎস।


একাত্তর/এসজে


মন্তব্য

এই নিবন্ধটি জন্য কোন মন্তব্য নেই.

আপনার মন্তব্য লিখুন

Nagad Ads