সিসিটিভি ক্যামেরা ছাড়াই জাতীয় সংসদের ছয় আসনের উপনির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে বলে দাবি করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আওয়াল। সেই সঙ্গে ছয় আসনের ভোটে ভোটার উপস্থিতির হার তুলনামূলকভাবে কম ছিলো বলেও মনে করেন তিনি।
বুধবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান তিনি। সিইসি বলেন, ছয় আসনে ভোটে ১৫-২০-২৫ শতাংশ হবে। তবে, এখনই নিশ্চিত করে বলা যাবে না। এটার জন্য আমাদের আরেকটু অপেক্ষা করতে হবে।
বিএনপির সংসদ সদস্যদের পদত্যাগের কারণে শূন্য হওয়া ঠাকুরগাঁও-৩, বগুড়া-৪ বগুড়া-৬, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ উপনির্বাচনের ভোট হয়। ভোটগ্রহণ শেষ হওয়ার পর বিকেলে আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে সম্মেলনে আসেন সিইসি।
তিনি বলেন, 'আমরা টিভি চ্যানেলগুলোর ওপর সারাক্ষণ দৃষ্টি রেখেছিলাম। অনিয়ম বা কারচুপির উল্লেখযোগ্য কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। অনলাইন পত্রিকা বিশেষভাবে পাঠ করেছি। ছয়টি জায়গায় ধাওয়া-পালটা ধাওয়া হয়েছে। একটি জায়গায় ককটেল পাওয়া গেছে। ভোটকেন্দ্রের বাইরে দু-একটি ককটেল বিষ্ফোরিত হয়েছে।'
সার্বিকভাবে ভোটগ্রহণ শান্তিপূর্ণ ছিল দাবি করে সিইসি বলেন, ভোট গণনা শুরু হয়েছে। কিছু কিছু জায়গায় হয়তো ঘণ্টাখানেকের মধ্যে ভোটগ্রহণ শেষ হলে গণনা শুরু হবে। দু-চার ঘণ্টার মধ্যে রিটার্নিং কর্মকর্তার দপ্তর থেকে দাপ্তরিকভাবে ভোটের ফলাফল ঘোষণা করা হবে।
হাবিবুল আউয়াল বলেন, উপনির্বাচনে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। সে দিক থেকে নির্বাচন সফল ও শান্তিপূর্ণ হয়েছে। তিনি জেলা প্রশাসন ও পুলিশের ভূমিকার প্রশংসা করে বলেন যে তারা এখন পর্যন্ত পেশাদারিত্বের সঙ্গে তাদের দায়িত্ব পালন করেছে।
তিনি বলেন, আমরা কোনো অভিযোগ পাইনি। আমরা স্থানীয় প্রশাসনের ওপর নির্ভর করি, কারণ তারা নির্বাচন সফল করতে তারা পূর্ণ সমর্থন দিয়েছে।
একাত্তর/এআর
মন্তব্য
এই নিবন্ধটি জন্য কোন মন্তব্য নেই.