পাঠক তৈরি, তবে প্রথম দিনে পাঠক বরণ করতে প্রস্তুত হয়ে ওঠেনি অমর একুশে বইমেলা। এলোমেলো ছড়িয়ে থাকা নির্মাণ সামগ্রী অস্বস্তি ছড়িয়েছে পাঠকের মাঝে।
অনেক স্টলের পর্দাও সরেনি। কোন কোন স্টলে আলো পর্যন্ত জ্বলেনি। তবু সফল একটি মেলার প্রত্যাশা জানিয়েছেন প্রকাশকরা।
বুধবার বিকেলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বইমেলা উদ্বোধনের পর সাধারণের জন্য খুলে দেয়া হয় মেলা প্রাঙ্গন। প্রথম দিনেই পাঠকের ভিড় ছিলো আশাজাগানিয়া।
বিশেষ করে করোনাকাল পেরিয়ে এবার সফল মেলার প্রত্যাশা জানিয়েছেন প্রকাশকের। তাদের আশা এবারের পাঠক ও বইপ্রেমীর সংখ্যা অতীতের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে যাবে।
তবে তাদের প্রত্যাশায় সাজেনি অমর একুশে বইমেলার প্রথম দিন। নির্মাণ সামগ্রীর স্তুপ ঝক্কি বাড়িয়েছে পাঠকের। এখনও চলছে স্টল গুছানোর কাজ।
প্রথম দিনই মেলায় দেখা যায় দর্শনার্থীদের ভিড়, তবে সব প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানের প্রস্তুতি পুরোপুরি শেষ হয়নি। বিভিন্ন প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের দেখা যায় এখনও স্টল গোছাতে ব্যস্ত।
এর মাঝেই এসেছে নতুন বই। উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বাংলা একাডেমি থেকে প্রকাশিত সাতটি বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করেন প্রধানমন্ত্রী। প্রত্যাশা, দ্বিতীয় দিনেই মেলা পাবে স্বস্তির ছবি।
বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণ ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের প্রায় সাড়ে ১১ লাখ বর্গফুট জায়গায় মেলা হচ্ছে এবার; অংশ নিচ্ছে ৬০১টি প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান।
প্রধানমন্ত্রী বুধবার বিকালে 'অমর একুশে বইমেলা ২০২৩ এর উদ্বোধনের আনুষ্ঠানিকতা সারেন। তিন বছর পর সশরীরে মেলায় এসে তিনিও ছিলেন দারুণ উচ্ছ্বসিত।
একাত্তর/এআর
মন্তব্য
এই নিবন্ধটি জন্য কোন মন্তব্য নেই.