রাজধানীতে বায়ু ও শব্দদূষণ রোধে অভিযান নেমেছে পরিবেশ অধিদপ্তর। তবে এই অভিযানের স্থায়ীত্ব ছিলো মাত্র দুই ঘণ্টা। পরিবেশমন্ত্রী শাহাব উদ্দিন স্বীকার করেছেন, আদালতের নির্দেশেই মূলত এই অভিযানে নেমেছে মন্ত্রণালয়।
কয়েক সপ্তাহ ধরে প্রায় প্রতিদিনই বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত বায়ুর শহরের তালিকায় শীর্ষে রয়েছে রাজধানী ঢাকা। এরই ধারাবাহিকতায় বুধবার রাজধানীর মানিক মিয়া এভিনিউতে একটার পর একটা গাড়ি আটকানো হচ্ছে। কোন বাহন কতোটা দূষণ করছে সেই পরীক্ষা চলেছে। প্রস্তুত করা হয়েছে পরীক্ষার আধুনিক যন্ত্রপাতিও।
দূষণের মাত্রা বুঝে হবে জরিমানা। শুধু মানিকমিয়া এভিনিউ পয়েন্টেই শুধু নয়, রাজধানীর এমন পাঁচটি পয়েন্টে ফাঁদ পাতে পরিবেশ অধিদপ্তর। গেলো এক মাসে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক দিন সর্বোচ্চ মাত্রার বায়ু দূষণে ভুগেছে নগরবাসী। দূষণ রোধে কী পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে; পরিবেশ অধিদপ্তরসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে পাঁচ ফেব্রুয়ারির মধ্যে তা জানাতে বলেছে হাইকোর্ট।
আদালতের আদেশের পরই ঢাকঢোল পিটিয়ে অভিযানে নামে পরিবেশ মন্ত্রনালয়। অভিযান দেখতে এসে যা স্বীকারও করেন মন্ত্রী। মানিক মিয়া এভিনিউতে তিনি বলেন, অধিদফতরে বর্তমানে কর্মরত তিনজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করবেন।
এমন অভিযানে আসলে কোন ফল পাওয়া যায় কি না এমন প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী ও সচিব কোন উত্তর দিতে পারেননি। তবে দায় চাপান নাগরবাসী ও অন্য কর্তৃপক্ষের উপর। তারা বলেন, শুধু সরকারের একার পক্ষে দূষণ কমানো সম্ভব নয়। জনগনকেও সচেতন হতে হবে।
এর মধ্যে মানিক মিয়া এভিনিউয়ে সকাল সাড়ে ১০টা থেকে বেলা সাড়ে ১২টা পর্যন্ত অভিযানে বাস, ট্রাক ও পিকআপ মিলিয়ে নয়টি গাড়ি পরীক্ষা করতে দেখা যায়। এর সাতটিরই ধোঁয়া ছিল সহনীয় মাত্রার চেয়ে বেশি। মন্ত্রী চলে যাবার পরই গুটিয়ে ফেলা হয় বায়ু দূষণ পরীক্ষার যন্ত্রপাতি।
সড়কে হর্নের অত্যাচারও নতুন নয়। কেবল অকারণে হর্ন বাজানোই নয়, পরিবেশ অধিদপ্তরের এই অভিযানে দেখা গেছে, গাড়িগুলোতে যে হর্ন ব্যবহার করা হয়, তার শব্দের মাত্রা সরকারের অনুমোদিত মাত্রার চেয়ে বেশি। মানিক মিয়া এভিনিউয়ের অভিযানে পাঁচটি গাড়ি পরীক্ষা করে প্রতিটিতেই সহনীয় মাত্রার চেয়ে বেশি শব্দে হর্ন বাজাতে দেখা গেছে।
একাত্তর/এআর
মন্তব্য
এই নিবন্ধটি জন্য কোন মন্তব্য নেই.