ভারতীয় ধনকুবের গৌতম আদানির কোম্পানিগুলো শেয়ারবাজারে এ পর্যন্ত ৮৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার হারিয়েছে।
বুধবার (১ ফেব্রুয়ারি) পর্যন্ত শেয়ারবাজারে এই ক্ষতির পর এশিয়ার শীর্ষ ধনীরও মুকুটও হারান আদানি গ্রুপের কর্ণধার। খবর: রয়টার্স।
বুধবারের এই শেয়ারমূল্য হারানোর পর মার্কিন সাময়িকী ফোর্বসের করা বিশ্বের শীর্ষ ধনীদের তালিকায় ১৫তম অবস্থানে নেমে গেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ঘনিষ্ঠজন হিসেবে পরিচিত ব্যবসায়ী গৌতম আদানি।
ফোর্বসের মতে, আদানির বর্তমান সম্পদের পরিমাণ ৭৫ দশমিক ১ বিলিয়ন ডলার। ভারতের অপর ব্যবসায়ী মুকেশ আম্বানি ফোর্বসের তালিকায় নবম স্থানে রয়েছেন। আম্বানির সম্পদের পরিমাণ ৮৩ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলার।
যুক্তরাষ্ট্রের গবেষণা প্রতিষ্ঠান হিনডেনবার্গ এক গবেষণায় গত সপ্তাহে আদানির জালিয়াতির খবর প্রকাশের পর ভারতে কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানের জবাবদিহিতা ও রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। আদানি গ্রুপ হিনডেনবার্গের উত্থাপিত অভিযোগের বিষয়ে ৪১৩ পৃষ্ঠার জবাব দিলেও শেয়ারবাজারে তাদের ধস ঠেকাতে পারেনি।
হিনডেনবার্গ প্রতিবেদনের জেরে গত সপ্তাহে আদানি গোষ্ঠীর বিভিন্ন কোম্পানির শেয়ারের দরে ধস নামে। প্রতিবেদনের পর এক দিনেই আদানি গ্রুপের বাজার মূলধন এক হাজার ৮০ কোটি ডলার কমে যায়।
আদানির জালিয়াতির এ প্রতিবেদনের বড় ধাক্কা লেগেছে ভারতের ব্যাংক ও জীবন বীমার শেয়ারের দরেও। ভারতের শেয়ারবাজার লাখ লাখ কোটি রুপি হারিয়েছে।
আদানি গ্রুপ বলছে, এটি নিছক কোনো নির্দিষ্ট সংস্থার ওপর একটি অযৌক্তিক আক্রমণ নয়। বরং ভারত, ভারতীয় প্রতিষ্ঠানের স্বাধীনতা, সততা এবং গুণমান ও ভারতের সমৃদ্ধির গল্প এবং উচ্চাকাঙ্ক্ষার ওপর ‘পরিকল্পিত আক্রমণ’।
আরও পড়ুন: বিনামূল্যে ট্রানজিট ভিসা চালু সৌদি সরকারের
তবে হিনডেনবার্গ আদানির বক্তব্যের কড়া জবাব দিয়ে বলেছে, ভারতের ভবিষ্যৎ আদানি গ্রুপ অবরুদ্ধ করে রেখেছে। কোম্পানিটি নিজেকে ভারতীয় পতাকায় আচ্ছাদিত করে পদ্ধতিগতভাবে জাতিকে লুট করছে।
হিনডেনবার্গ জানায়, আদানির ৪১৩ পৃষ্ঠার জবাবের মধ্যে মাত্র ৩০ পৃষ্ঠা প্রতিবেদনের সঙ্গে সম্পর্কিত। অবশিষ্ট অংশে অপ্রাসঙ্গিক কর্পোরেট উদ্যোগের বিবরণ রয়েছে। যেমন এটি কিভাবে মহিলা উদ্যোক্তা ও নিরাপদ সবজি উৎপাদনকে উৎসাহিত করে সেসব তথ্য।
একাত্তর/জো
মন্তব্য
এই নিবন্ধটি জন্য কোন মন্তব্য নেই.