৪৮ ঘণ্টার ব্যবধানে পাকিস্তানে আবারও জঙ্গি হামলার ঘটনা ঘটেছে। পেশোয়ারের পর এবার পাঞ্জাব প্রদেশের মিয়াঁওয়ালি জেলার একটি থানা দখলের চেষ্টা চালাল জঙ্গিরা।
থানা ঘিরে ধরে দীর্ঘ সময় ধরে চলে গোলাগুলি। শেষ পর্যন্ত পাকিস্তান পুলিশের পাল্টা জবাবে পিছু হটে জঙ্গিরা। মঙ্গলবার রাতে এই ঘটনা ঘটে মিয়াঁওয়ালি জেলার একটি থানায়।
পাঞ্জাব পুলিশের মহাপরিদর্শক ওসমান আনওয়ার জানান, থানা দখলের পরিকল্পনা নিয়ে হামলা চালিয়েছিল জঙ্গিরা। কিন্তু তাদের সেই চেষ্টা ভেস্তে গেছে কঠিন প্রতিরোধের মুখে।
হামলায় কতজন জঙ্গি অংশ নিয়েছিলো সেই সম্পর্কে কোন ধারণা দিতে না পারলেও, গুলিতে বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে বলে দাবি করেছেন পাঞ্জাব পুলিশের প্রধান।
থানায় হামলার খবর পাওয়া মাত্র সেখানে বিশেষ পুলিশ বাহিনীর বিপুল সংখ্যাক সদস্য পাঠানো হয়। সেই জঙ্গিদের খুঁজতে এরিমধ্যে ওই এলাকায় চিরুনি তল্লাশি শুরু করেছে পাক রেঞ্জার্স।
পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, মঙ্গলবার গভীর রাতে আচমকাই থানা ঘিরে ফেলে ২৫-৩০ জন সন্ত্রাসবাদীর একটি দল। থানা লক্ষ্য করে এলোপাথাড়ি গুলি ছুড়তে থাকে তারা।
তখনই পালটা গুলি চালায় থানার পুলিশের সিপাহী ও কর্মকর্তারা। পাঝ্জাব পুলিশের প্রধান ওসমান বলেন, ওই সময় থানা রক্ষা করতে দরজা আগলে দাঁড়ান পুলিশ সদস্যরা।
থানার মধ্যেই বিভিন্ন জায়গায় অবস্থান নেয় পুলিশ। পাশাপাশি কাছের পুলিশ ব্যারাকেও খবর দেয়া হয়। তবে তাই আগেই দীর্ঘ সময় ধরে গুলির লড়াই চলে।
পুলিশের দাবি, শুধু থানা দখল বা সেখানকার পুলিশ সদস্যদের হত্যা করাই নয়, জঙ্গিদের আসল টার্গেট ছিল হাতিয়ার লুঠ করা।
অত্যাধুনিক আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে থানায় হামলা চালানো হয় বলে জানিয়েছেন তাঁরা। কোন গোষ্ঠি এই হামলার দায় স্বীকার করেনি। তবে সন্দেহের তীর তেহেরিক-ই তালিবান পাকিস্তানের দিকে।
এর আগে গত সোমবার আফগানিস্তান সীমান্ত লাগোয়া পেশোয়ারের একটি মসজিদে আত্মঘাতী হামলা চালায় জঙ্গিরা। সেই ঘটনায় মৃত্যু হয় শতাধিক মানুষের।
একাত্তর/এআর
মন্তব্য
এই নিবন্ধটি জন্য কোন মন্তব্য নেই.