মিশরীয় উড়োজাহাজ লিজ নিয়ে দুর্নীতির মাধ্যমে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের এগারশ' ৬১ কোটি টাকা ক্ষতি করা হয়েছে। এ ঘটনায় বিমানের সাবেক ফ্লাইট অপারেশন ক্যাপ্টেন ইশরাক আহমেদসহ ২৩ জন জড়িত থাকার প্রমাণ পেয়েছে দুদক।
এই ২৩ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলার অনুমোদন দিয়েছে দুদক। দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে শিগগির মামলাটি দায়ের করবে বলে জানা গেছে। মামলার এক নম্বর আসামি করা হতে পারে তৎকালীন ক্যাপ্টেন ইশরাক আহমেদকে।
লাভের আশায় ২০১৪ সালে মিশরের ইজিপ্ট এয়ার থেকে দুটি উড়োজাহাজ লিজ নিয়েছিলো বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স। কিন্তু অত্যন্ত উচ্চ মূল্যে ভাড়া নেয়া সেই উড়োজাহাজ থেকে লাভের বদলে উল্টো শত কোটি টাকার লোকশান গুনতে হয়েছে বিমানকে।
দুদকের অনুসন্ধান বলছে, পাঁচ বছরের জন্য লিজ নেয়া হলেও, এগারো মাসের মাথাতেই দুটি উড়োজাহাজের ইঞ্জিনই নষ্ট হয়ে যায়। সেই নষ্ট ইঞ্জিন সচল করতে আনা হয় আরও চারটি ইঞ্জিন। এতেও কাজ হয়নি। উল্টো ক্ষতির খাতায় যোগ হয় আরো চারটি ইঞ্জিন।
অনুসন্ধানে আরও বেরিয়ে আসে, চুক্তির আগে তৎকালীন বিমানের ফ্লাইট অপারেশন ক্যাপ্টেন ইশরাতের নেতৃত্বে একটি টেকনিক্যাল টিম মিশর সফরে গিয়েছিলো। বিমান দুটির এসব দুর্বলতা জেনেও তারা লিজে সম্মতি দিয়েছিলেন।
আর এসব কারণে বিমানের ক্ষতি হয়েছে এগারশ’ ৬১ কোটি টাকা।
অনুসন্ধান শেষে বিমানের ২৩ কর্মকর্তাকে আসামি করে মামলা করতে যাচ্ছেন দুদকের উপ-পরিচালক জেসমিন আক্তার।
সোমবার এই কথা নিশ্চিত করেছেন দুদক সচিব মাহবুব হোসেন।
আরও পড়ুন: ফারদিন হত্যা: বুশরার ঘাড় থেকে দায় নামালো পুলিশ
উল্লেখ্য, মিশর থেকে বোয়িংয়ের দুটি উড়োজাহাজ লিজ সংক্রান্ত এক হাজার ১০০ কোটি টাকা অনিয়মের অভিযোগ অনুসন্ধানে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের প্রধান কার্যালয়ে গত বছরের এক জুন অভিযান পরিচালনা করে দুদক। সংস্থাটির উপ-পরিচালক মো. সালাহউদ্দিনের নেতৃত্ব ওই অভিযান চালানো হয়। মাঝে বদলিজনিত কারণে দুদক টিম পুনর্গঠন করা হয়। বর্তমান উপ-পরিচালক আনোয়ারুল হকের নেতৃত্ব টিম গঠিত হয়।
সেসময় অভিযানের বিষয়ে দুদকের জনসংযোগ শাখার উপ-পরিচালক মুহাম্মদ আরিফ সাদেক জানান, মূলত তারা অনিয়ম সংক্রান্ত নথিপত্র সংগ্রহ করতেই সেখানে গেছেন। এটা অভিযান নয়। অনুসন্ধানের অংশ হিসেবেই দুদক টিম সেখানে গেছে। বাংলাদেশ বিমানের কাছে ১৩ ধরনের নথিপত্রও তলব করে দুদক।
একাত্তর/এসি
মন্তব্য
এই নিবন্ধটি জন্য কোন মন্তব্য নেই.