পশ্চিমা সমর্থিত সেনা সদস্য ও ইউক্রেনীয়দের হত্যায় রাশিয়াকে হান্টিং
রাইফেল দিয়েছে চীন। জার্মান গণমাধ্যম পলিটিকো এ তথ্য জানিয়েছে। বলা হয়, ড্রোনের সরঞ্জাম
এবং বডি আর্মরও পাঠিয়েছে বেইজিং। প্রতিক্রিয়ায় জাতিসংঘে মার্কিন রাষ্ট্রদূত বলেন, চূড়ান্ত
সীমা অতিক্রম করেছে বেইজিং। যদিও এমন অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে ওয়াশিংটনের চীনা দূতাবাস।
চীনা নর্থ ইনডাস্ট্রিজ গ্রুপ করপোরেশন লিমিটেড রুশ কোম্পানি টেকট্রিমকে
এক হাজার হান্টিং রাইফেল দিয়েছে। বৃহস্পতিবার জার্মান গণমাধ্যম পলিটিকো এমন তথ্য জানিয়েছে।
সাধারণ শিকারি রাইফেল বলা হলেও বিভিন্ন দেশের আধাসামরিক বাহিনী রাইফেলটি ব্যবহার করছে।
গেলো ডিসেম্বরে চীনা কোম্পানি ডিজেআই রাশিয়াকে ব্যাটারি, ক্যামেরার
মতো ড্রোনের সরঞ্জাম পাঠিয়েছে। রুট হিসাবে ব্যবহার করা হয় আমিরাতকে। উইঘুর ইস্যুতে
২০২১ সাল থেকে মার্কিন নিষেধাজ্ঞভুক্ত ডিজেআই। ডিসেম্বরে ১০ মিলিয়ন ডলার মূল্যের ৮০
টন বডি আর্মর সংগ্রহ করেছে রাশিয়া। অধিকাংশ বডি আর্মর তুর্কি কোম্পানি আরিটেক্সের তৈরি।
চীনা কোম্পানি থেকেও কিছু বডি আর্মর সংগ্রহ করেছে মস্কো।
রাশিয়াকে সহায়তার না করার জন্য চীনকে সতর্ক করে আসছে যুক্তরাষ্ট্র-ইউরোপ।
তারমধ্যেই অস্ত্র সরবরাহের নিশ্চিত খবর পাওয়া গেলো। রাশিয়াকে চীন অস্ত্র দিলে যুদ্ধের
পরিস্থিতি পাল্টে মস্কোর পক্ষে চলে যাবে বলেও সতর্ক তারা।
পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার কারণে মাইক্রোচিপ থেকে টিয়ারগ্যাস পর্যন্ত আমদানিতে
বাধাগ্রস্ত হচ্ছেন পুতিন। যুদ্ধ পরিচালনায় নেভিগেশন সরঞ্জাম, স্যাটেলাইট চিত্র, যানবাহনের
যন্ত্রাংশ, সামরিক সরঞ্জাম, অন্যান্য কাঁচামালের জন্য চীন, ইরান, মিয়ানমার, উত্তর কোরিয়া,
সার্বিয়ার মতো দেশগুলোর উপর নির্ভর করছেন তিনি।
টেকট্রামকে দেয়া রাইফেল যুদ্ধে ব্যবহার হচ্ছে কিনা জানা যায়নি। ডিজেআই
কয়েকমাস ধরে যুদ্ধে মস্কোকে সহায়তা দিচ্ছে। এ বিষয়ে মন্তব্য করেনি প্রতিষ্ঠান দুটি।
মুখ খুলেনি চীনা জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদও। ওয়াশিংটনে চীনা দূতাবাস জানায়, বেইজিং শান্তি
আলোচনা জোরদারে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। চীন সংকট তৈরি করেনি। সংকটের অংশও না। তারা কোনো পক্ষকে
অস্ত্র দেয়নি।
সম্প্রতি জার্মান চ্যান্সেলর জানান, রাশিয়াকে অস্ত্র দিলে চীনকে ভয়াবহ
পরিণত ভুগতে হবে। চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী সঙ্গে বৈঠকের পর মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী
বলেছেন, মস্কোকে প্রাণঘাতী অস্ত্র সরবরাহ ভয়াবহ সংকট তৈরি করবে, যা তিনি স্পষ্টভাবে
ওয়াং ইকে জানিয়েছেন। জাতিসংঘে মার্কিন রাষ্ট্রদূত বলেন, রাশিয়াকে চীনের অস্ত্র সরবরাহ
চূড়ান্ত সীমা অতিক্রম।
মন্তব্য
এই নিবন্ধটি জন্য কোন মন্তব্য নেই.