চীনের মধ্যস্থতায় ইরান ও সৌদি আরবের মধ্যকার সমঝোতা চুক্তি মধ্যপ্রাচ্যে ইসরাইলি শাসকগোষ্ঠীর জন্য যে প্রভাব ফেলতে চলেছে তার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন প্রাক্তন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হেনরি কিসিঞ্জার। এই চুক্তি ইসরাইলের জন্য অনেক কিছু জটিল করে দিয়েছে বলেও জানান তিনি।
ওয়াশিংটন পোস্টের সাংবাদিক ডেভিড ইগনাশিয়াসের সাথে আলাপকালে কিসিঞ্জার বলেন, চীনের মধ্যস্থতায় ইরান এবং সৌদি আরব সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার যে চুক্তি করেছে তা মধ্যপ্রাচ্যের কৌশলগত সমীকরণ পাল্টে দেবে।
তিনি বলেন, এটি বাস্তবতা যে, চুক্তি সইয়ের আগে ইসরাইলি সরকার যেভাবে ইরানের ওপর চাপ সৃষ্টি করেছিল এখন তা আর সম্ভব না।
তেল আবিব যদি ইরানের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে চায় তাহলে এখন থেকে ইসরাইলকে মধ্যপ্রাচ্যে চীনের স্বার্থ বিবেচনায় রাখতে হবে বলেও জানান তিনি।
হেনরি কিসিঞ্জার বলেন, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে চীন ঘোষণা করেছিল যে, নতুন বিশ্ব ব্যবস্থা সৃষ্টিতে তার অংশগ্রহণ জরুরি। ইরান এবং সৌদি আরবের মধ্যে চুক্তি সই করার পদক্ষেপ নিয়ে চীন সেই পথেই এগিয়ে গেল।
এক্ষেত্রে চীন একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিয়েছে বলেও মন্তব্য করেন রিচার্ড নিক্সন জামানার এ কূটনৈতিক।
আরও পড়ুন: ব্যাংকের টাকা লুট: মূল পরিকল্পনাকারী গ্রেপ্তার
এর আগে গেলো শুক্রবার (১০ মার্চ) চীনের মধ্যস্থতায় দুই দেশের বৈরি সম্পর্কের পালে লাগে নতুন হাওয়া। চীনের রাজধানী বেইজিংয়ে ইরান-সৌদি আলোচনা সফলতার মুখ দেখে। আগামী দুই মাসের মধ্যে উভয় দেশেই নিজেদের দূতাবাস পুনরায় চালু, অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ না করাসহ ২০০১ সালে স্বাক্ষরিত নিরাপত্তা চুক্তি সচলে রাজি হয়েছে।
এর মধ্যদিয়ে বদলে যেতে পারে মধ্যপ্রাচ্যের রাজনৈতিক কৌশল, এমনটাই ধারণা করছেন বিশেষজ্ঞরা। সৌদি-ইসরাইল সম্পর্কে ফাটল দেখা দিতে পারে।
২০১৬ সালে তেহরান ও রিয়াদ কূটনৈতিক সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন করে। কূটনৈতিক সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে অতীতে বেশ কয়েক দফা উভয় দেশের কর্মকর্তারা আলোচনা চালিয়ে আসছিলেন।
একাত্তর/আরবিএস
মন্তব্য
এই নিবন্ধটি জন্য কোন মন্তব্য নেই.