নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ থেকে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে ভারতে পাচার করে দেয়া দুই কিশোরীকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার (১৮ মার্চ) রাতে ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার গোপালপুর বর্ডার এলাকা থেকে তাদের উদ্ধার করা হয়।
রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি -তদন্ত) আতাউর রহমান জানান, চলতি বছরের পহেলা জানুয়ারি উপজেলার ভুলতা এলাকা থেকে ওই দুই কিশোরীকে উচ্চ বেতনের চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে একটি চক্র ভারতে পাচার করে দেয়।
তাদের খুঁজে না পেয়ে এ ঘটনায় রূপগঞ্জ থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেন তাদের পরিবার। পরে গত ২৪ জানুয়ারি ভারতীয় একটি মোবাইল নম্বর থেকে নিখোঁজ এক কিশোরী তার মাকে ফোনে জানায় অধিক বেতনের লোভ দেখিয়ে সোনারগাঁও এলাকার হাশেম আলীর ছেলে নবী হোসেন মোল্লা ও আইজা মিয়ার ছেলে জাকির হোসেন তাদের ভারতে পাচার করে দিয়েছেন।
এ ঘটনায় ২৫ জানুয়ারি ওই কিশোরীর মা বাদী হয়ে রূপগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করলে গত ১৩ মার্চ সকালে সোনারগাঁও থেকে প্রধান আসামী নবী হোসেন মোল্লাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
পরে তার দেয়া তথ্যমতে শনিবার রাতে পুলিশ ঝিনাইদহের মহেশপুর থানাধীন গোপালপুল বর্ডার এলাকা থেকে তাদের উদ্ধার করে।
উদ্ধার হওয়া কিশোরীদের বরাত দিয়ে ওসি জানায়, তাদের প্রথমে সিদ্ধিরগঞ্জের একটি আবাসিক হোটেলে রোডে রাখে চক্রটি। পরের দিন সকাল নবী ও রশিদ তাদের ঢাকায় শাকিল নামে একজনের কাছে রেখে আসে। সেখান থেকে গত ৩ জানুয়ারি শাকিল ও তার এক বন্ধু তাদের যশোর নিয়ে যায়। সেখানে শাকিল তাদের ঝিনাইদহের মহেশপুর থানাধীন গোপালপুর বর্ডারের কাছে এক দালালের বাড়িতে নিয়ে যায়।
ঐদিন রাতেই দালাল তাদের ভারতের বর্ডার পার করিয়া ভারতের অপর দালালের নিকট তুলে দেয়। তখন কিশোরীরা জানতে পারে তাদেরকে ৬ লাখ টাকার বিনিময়ে মুম্বাইয়ে পতিতালয়ে বিক্রি করে দেয়া হয়েছে। এই কথা জানার পর ওই দুই তরুণী কৌশলে সেখান থেকে পালিয়ে বর্ডারের কাছে পরিতোষ নামে এক ব্যক্তির বাড়িতে আশ্রয় নেয়।
আরও পড়ুন: ছুরিকাঘাতে ভ্যানচালককে খুন করে অটোভ্যান ছিনতাই
সেখান থেকে কৌশলে বর্ডার পার হয়ে ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার গোপালপুর বর্ডার আসে তারা। তখন পুলিশ তাদের উদ্ধার করে।
উদ্ধার ওই দুই কিশোরীকে তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তরের জন্য আদালতে ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে পাঠানো হয়েছে।
একাত্তর/আরএ
মন্তব্য
এই নিবন্ধটি জন্য কোন মন্তব্য নেই.