স্বাধীনতার মাস মার্চেই মতুয়া ধর্মের পীঠস্থান পশ্চিমবঙ্গের ঠাকুরনগরে ভারতের পতাকার পাশপাশি উড়লো বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা। মতুয়া সম্প্রদায়ের গুরু হরিচাঁদ ঠাকুরের ২১২তম জন্ম তিথি উপলক্ষে গাইঘাটা ঠাকুরনগর ঠাকুরবাড়িতে রোববার থেকে শুরু হওয়া বারুনীর মহামেলায় যাওয়া বাংলাদেশি পুণ্যার্থীদের হাতে ছিল বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা।
রোববার (১৯ মার্চ) মেলা উপলক্ষে ভারতের নানা প্রান্ত ছাড়াও বিভিন্ন দেশে বসবাসকারী মতুয়া সম্প্রদায়ের মানুষ সেখানে উপস্থিত হন।
এদিন বাংলাদেশ থেকে ৪০ পুণ্যার্থী মহামেলায় যান। রাজ্যের উত্তর ২৪ পরগনা জেলার ঠাকুরনগরের মতুয়া ঠাকুর বাড়িতে ডংকা, কাসর, নিশান নিয়ে হরিনাম সংকীর্তনের মধ্যে দিয়ে চলছে আরাধনা। অনুষ্ঠানে আসেন গোসাই দলপতিরাও।
কামনা সাগরে ডুব দিয়ে মনস্কামনা করছেন লক্ষ্যধিক ভক্ত। ভক্তদের বিশ্বাস, এই জলে স্নান করলেই মেলে রোগ মুক্তি থেকে নানা সমস্যার সমাধান।
বৃহত্তম এই ধর্মীয় মেলা উপলক্ষ্যে এক টুইট বার্তায় সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
এদিকে উৎসবকে ঘিরে সেজে ওঠেছে গোটা এলাকা। মন্দির পার্শ্বস্থ মাঠেই সাত দিন ধরে চলবে মেলা। হরিচাঁদ ও গুরুচাঁদ ঠাকুরসহ বিনাপানি দেবী অর্থাৎ বড় মা'র মন্দিরে চলে ভক্তদের বিশেষ প্রার্থনা। মতুয়া ধর্মের বারুনী মেলাকে ঘিরে ভক্তদের মধ্যে উৎসাহ থাকে চোখে পড়ার মতো।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন এ বছর বারুনী মেলায় রেকর্ড ভিড়ের সম্ভাবনা রয়েছে। করোনার প্রকোপ কাটিয়ে এ বছর কয়েক লাখ ভক্তের সমাগম ঘটবে বলে মনে করছেন ঠাকুরবাড়ির সদস্যরা।
একাত্তর/আরবিএস
মন্তব্য
এই নিবন্ধটি জন্য কোন মন্তব্য নেই.