ঢাকা ২৫ মার্চ ২০২৩, ১১ চৈত্র ১৪২৯

নর্ডস্ট্রিমে ছিদ্র: পরিবেশে ছড়ালো রেকর্ড মিথেন

একাত্তর অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ০১ অক্টোবর ২০২২ ২০:৫২:০৩ আপডেট: ০২ অক্টোবর ২০২২ ১৮:০৬:১০
নর্ডস্ট্রিমে ছিদ্র: পরিবেশে ছড়ালো রেকর্ড মিথেন

বাল্টিক সাগরের তলদেশে নর্ড স্ট্রিম প্রাকৃতিক গ্যাস পাইপলাইন সিস্টেমে ফাটল দেখা দিয়েছে। রাশিয়া থেকে ইউরোপে গ্যাস সরবরাহ করা এ পাইপলাইনে এখন পর্যন্ত চারটি ছিদ্র পাওয়া গেছে। এর ফলে রেকর্ড পরিমাণ মিথেন পরিবেশে ছড়িয়ে পড়েছে বলে শঙ্কা প্রকাশ করেছে জাতিসংঘের পরিবেশ কর্মসূচি (ইউএনইপি)। 

শুক্রবার ইউএনইপি'র ইন্টারন্যাশনাল মিথেন নির্গমন অবজারভেটরি (আইএমইও)-এর সাথে যুক্ত গবেষকরা স্যাটেলাইট চিত্র বিশ্লেষণ করে জানান, সাগরে অত্যন্ত ঘনীভূত মিথেনের একটি বিশাল প্রবাহ দেখা গেছে। তারা বলছেন, মিথেন একটি গ্রিনহাউস গ্যাস যা কার্বন ডাই অক্সাইডের চেয়ে অনেক বেশি শক্তিশালী। 

ইউএনইপির আইএমইও-এর প্রধান ম্যানফ্রেডি ক্যালটাগিরোন রয়টার্সকে বলেছেন, এটি সত্যিই খারাপ, সম্ভবত সবচেয়ে বড় নির্গমনের ঘটনা শনাক্ত করা হয়েছে।

তিনি যোগ করেন, এক মুহূর্তে এটির সমাধান সম্ভব না। আমাদের একেবারে নির্গমন কমাতে হবে।

স্যাটেলাইট চিত্র বিশ্লেষণ করে জিএইচজিস্যাট গবেষকরা জানান, এসব ফাটল দিয়ে গড়ে প্রতি ঘন্টায় ২২ হাজার ৯২০ কেজি (প্রায় ৫০ হাজার পাউন্ড) গ্যাস নির্গমন হয়েছে। যা প্রতি ঘন্টায় প্রায় ছয় লাখ ৩০ হাজার পাউন্ড (প্রায় তিন লাখ কেজি) কয়লা পোড়ানোর সমান।

সংস্থাটি বলছে, প্রাথমিক ফাটল বিবেচনা করলে এই হার খুব বেশি।  

তবে আইএমইও শনিবার এক টুইট বার্তায় জানায়, নতুন পরিসংখ্যান ইঙ্গিত করে যে মিথেনের প্রবাহ কিছুটা কমেছে। 

শুক্রবার জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে এক বিবৃতিতে বলেছে, সামুদ্রিক জীবনের জন্য এ গ্যাস বিপজ্জনক হতে পারে। এছাড়াও পরিবেশে গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গত হচ্ছে।

সবশেষ সুইডেনের কোস্টগার্ড শুক্রবারও জানিয়েছে, তারা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে। যদিও গ্যাসের লিকিংয়ের পরিমাণ হ্রাস পেয়েছে। বাল্টিক এলাকায় চলাচল করা জাহাজগুলোকে দুর্ঘটনাস্থল থেকে পাঁচ নটিক্যাল মাইলের পরিবর্তে সাত নটিক্যাল মাইল দূরত্ব রাখতে অনুরোধ করে সংস্থাটি। 

আরও পড়ুন: 'পরমাণু' প্রশ্নে এবার দক্ষিণ কোরিয়ার কড়া হুঁশিয়ারি

এর আগে চলতি সপ্তাহের শুরুতে রাশিয়ার নর্ডস্ট্রিম ১ ও ২-তে ছিদ্র খুঁজে পাওয়ার কথা জানায় ডেনমার্ক ও সুইডেন। বর্তমানে এই দুটি পাইপলাইন দিয়ে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। ফলে গ্যাস পাচ্ছে না ইউরোপ। 

এই ঘটনাকে 'পরিকল্পিত, বেপরোয়া ও দায়িত্বজ্ঞানহীন নাশকতার' ফল বলে অভিহিত করেছে ন্যাটো। অন্যদিকে রাশিয়া বলছে, এর পিছে পশ্চিমাদের হাত রয়েছে। 


একাত্তর/আরবিএস  

মন্তব্য

এই নিবন্ধটি জন্য কোন মন্তব্য নেই.

আপনার মন্তব্য লিখুন

Nagad Ads