ঢাকা ২৫ মার্চ ২০২৩, ১১ চৈত্র ১৪২৯

স্থপতির চাকরি ছেড়ে আজ নিজ উদ্যোগে সফল সাকিয়া

ফায়সাল রয়েল, একাত্তর
প্রকাশ: ০২ নভেম্বর ২০২২ ১৯:১১:৩৮
স্থপতির চাকরি ছেড়ে আজ নিজ উদ্যোগে সফল সাকিয়া

আপন ঘর অথবা কর্পোরেট অফিস। নিজের মনের মতো করে কে না সাজাতে চায়! ভাবুনতো এ সজ্জায় থাকবে জ্যামিতিক ডিজাইনের রুচিশীল একটি ফুলের টব হোল্ডার অথবা স্ট্যান্ড। অথবা রুমের এক কোনে পেইন্টিং-এর সাথে লোহার তৈরি ছিমছাম একটি কর্ণার টেবিল! 

মনকাড়া সব ডিজাইনের লোহার পণ্য নিয়ে কাজ করছেন সাকিরা রশিদ মুন্নি। এক সন্তানের জননী সাকিরা স্থাপত্য নিয়ে পড়ালেখা করেছেন। একটি প্রাইভেট কোম্পানীতে কাজ করেছেন ১২ বছর। 


মনের টানে, নিজে কিছু করার ইচ্ছায় শুরু করেছেন নিজের ব্যাবসা। তিনি বলেন, আমি হোমইন্টেরিয়র করার সময়ে আমার ক্লায়েন্টরা অনলাইন থেকে ছবি দিয়ে বলতেন বিভিন্ন শোপিস বা স্ট্যান্ডগুলোর কথা। তাদের চাহিদার সব পণ্যই ছিল চীন, মালয়শিয়া, ইন্দোনেশিয়ার পণ্য। আমাদের দেশে এনিয়ে কাজ করার কেউ ছিলো না। ব্যপারটা আমাকে খুব ভাবায়। মনে হয়েছিল এটা আমিই করবো।  সেখান থেকেই আর্ট ওয়েভের যাত্রা শুরু। 

পরিবার থেকে বেশ সহযোগীতা পেয়েছি। যার জন্য আজ আমি এতদূর। 


স্থাপত্য পড়াশোনার জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে তৈরি স্টিল হোম ডেকোর প্রতিষ্ঠান আর্ট ওয়েভ আজ দেশের রুচিশীলদের মনে আর ঘরে জায়গা করে নিচ্ছে। সাকিয়া নিজের অদম্য চেষ্টায় নিজের উদ্যোগকে তুলে ধরছেন ভিন্ন নকশার পণ্যের অবারিত বাজারে। তার কাছে মিলবে লোহার জ্যামিতিক ডিজাইনের ফুলের টব স্ট্যান্ড, কর্নার টেবিল, টি টেবিল, ওয়াল টব স্টান্ড অথবা পণ্য মেলায় উদ্যোক্তাদের জন্য সজ্জা ডিসপ্লে র‌্যাক। দামও নাগালেই। 

সাকিরা বলেন, মানুষের মনে জায়গা করে নিয়ে আমাকে ডিজাইন নিয়ে খুব ভাবতে হয়। কোন ডিজাইন কোন ধরনের মানুষেরা পছন্দ করবে। এজন্য আমি আমার প্রত্যাকেটা ডিজাইন এই একটা পরীক্ষামূলক ভার্সন তৈরি করি। তারপর সেটার মান, ডিজাইন ও ব্যবহার নিয়ে ভাবা হয়। তারপর নানা পরিবর্তন পরিমার্জন এনে চূড়ান্ত করি। 


৪ বছরের এই উদ্যোগে নিজেকে জড়িয়ে রেখেছেন তিনি। তবে টাকাকড়িও কম আসছে না। পণ্য তৈরি আর বিক্রি বাটা খরচ বাদ দিয়েই মাসে তার আয় থাকে লাখের বেশি । তিনি বলেন, আমার ক্লায়েন্ট দুই ধরণের, এক ধরণ হচ্ছেন যারা বাসাবাড়ির জন্য নেন, অন্যরা হচ্ছেন কর্পোরেট ক্লায়েন্ট যারা অফিস বা কারখানার জন্য আমার পণ্য নেন। আসলে দিন শেষে কাজের জন্য সাবাসী পাওয়াই বড় কথা। তবে আমি মানে কখনো ছাড় দেই না। চেষ্টা করি ভালো মান ও দামে নজর রাখতে, আর তাই আমার পণ্য বিদেশী পণ্যের চেয়ে অনেক কম দাম কিন্তু মানে প্রায় সমান। এখন তো অনেকে দেশের বাইরে থেকেও আমার পণ্য নিচ্ছেন।

উদ্যোক্তার বাধা ও চ্যালেঞ্জ প্রশ্নে তিনি বলেন, অনেকেই যে বিষয়ে উনি আগ্রহী সে বিষয় নিয়ে কাজ করেন না। আমি তাদের বলবো, সবার আগে নিজে কি করতে চান সেটা ঠিক করে সে বিষয়ে প্রশিক্ষন ও জ্ঞান নিয়ে কাজ শুরু করতে হবে। প্রথমে বাধা আসবেই কিন্তু লেগে থাকলে সফলতা আসবেই। 


একাত্তর/এআর

মন্তব্য

এই নিবন্ধটি জন্য কোন মন্তব্য নেই.

আপনার মন্তব্য লিখুন

Nagad Ads