জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত গরিব দেশগুলোকে ক্ষতিপূরণ দিতে ঐতিহাসিক ‘লস অ্যান্ড ড্যামেজ’ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে কপ২৭ সম্মেলনে।
শনিবার (১৯ নভেম্বর) গভীর রাতে মিশরের শার্ম-আল-শেখে প্রেসিডেন্ট সামি শৌকরি চুক্তি স্বাক্ষরের ঘোষণা দেন।
জলবায়ু পরিবর্তনে গরিব দেশগুলোর ক্ষতিপূরণ নিশ্চিতে এবারের সম্মেলনে ব্যাপক দেনদরবরার চলছিল।
শেষ পর্যন্ত স্বাক্ষর হওয়া এই ‘লস অ্যান্ড ড্যামেজ’ চুক্তিতে ধনী দেশগুলো কীভাবে ক্ষতিপূরণ দেবে আর ক্ষতিগ্রস্তরাই বা কীভাবে ক্ষতিপূরণ পাবে তার বিস্তারিত এখনও জানা যায়নি।
এর আগে চুক্তি সম্পাদন নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দেয়। গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়, কপ২৭ সম্মেলনে ইইউ আলোচক ফ্রান্স টিমারম্যান্স সাংবাদিকদের উদ্দেশে বলেন, ‘আমরা কোনো খারাপ চুক্তি করার চেয়ে বরং কোনো চুক্তিতেই যাবো না। ’
এ সময় তিনি আরও বলেছিলেন, ইইউ এমন কোনও চুক্তি করবে না যাতে উষ্ণায়ন দেড় ডিগ্রি সেলসিয়াসে সীমিত রাখার লক্ষ্য হারিয়ে যায়। উল্লেখ্য, উষ্ণায়নের লাগাম টানতে ২০১৫ সালের প্যারিস জলবায়ু চুক্তি এবং গত বছর স্কটল্যান্ডের গ্লাসগোতে কপ সম্মেলনের প্রতিশ্রুতিতে এ লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারিত হয়।
বিবিসি লিখেছে, এই ‘লস অ্যান্ড ড্যামেজ’ টার্মটি মূলত জলবায়ু পরিবর্তনের তাৎক্ষণিক প্রভাব ও ক্ষয়ক্ষতি মোকাবেলায় ক্ষতিগ্রস্ত গরিব দেশগুলোকে সহায়তায় একটি তহবিলের প্রয়োজনীয়তার দিকেই ইঙ্গিত করছে।
জলবায়ু পরিবর্তনে বড় ভূমিকা রাখায় শতকের পর শতক ক্ষতিপূরণ টানতে হতে পারে এই ভয় থেকেই ধনী দেশগুলো গত ৩০ বছর ধরে ক্ষতিপূরণ নিয়ে আলোচনায় বাধা দিয়ে আসছিল।
আরও পড়ুন: ঢাকা সফরে আসছেন না রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ল্যাভরভ
কিন্তু সাম্প্রতিক বছরগুলোতে পাকিস্তানে ভয়াবহ বন্যা, নাইজেরিয়া ও অন্যত্র জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে পরিস্থিতি বদলে যায়, শেষ পর্যন্ত বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধির কারণে ক্ষয়ক্ষতির ইস্যুটি মিশরের সম্মেলনে প্রধান আলোচ্য বিষয়ে পরিণত হয়।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, তহবিলে সায় দিলেও জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় বৈশ্বিক সমাধানের বৃহত্তর কোনো চুক্তিতে সম্মত হয়নি দেশগুলো।
মন্তব্য
এই নিবন্ধটি জন্য কোন মন্তব্য নেই.