তুরস্কের সামরিক বাহিনী ইরাক, সিরিয়ার আলেপ্পো এবং হাসাকাপ্রদেশের বেশ কয়েকটি শহর ও গ্রামের ওপর বিমান হামলা চালিয়েছে।
রোববার (২০ নভেম্বর) টুইটারে এক বিবৃতিতে অভিযান শুরুর ঘোষণা দিয়েছে তুরস্কের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। ভোরে একটি সামরিক বিমান উড্ডয়নের ছবিসহ টুইটারে পোস্ট করে তারা লেখে, 'হিসেব করার সময় এসেছে, যারা বিশ্বাসঘাতক হামলা করেছে তাদের জবাবদিহি করা হবে।'
তুরস্ক দাবি করছে, কুর্দি গেরিলাদের এসব ঘাঁটি থেকে তুরস্কের ওপর হামলা চালানো হয়। তবে, এতে হতাহতের কোন তথ্য পাওয়া যায়নি।
সম্প্রতি তুরস্কে আত্মাঘাতী বোমা বিস্ফোরণে ছয়জন নিহত এবং ৮১ জন আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে আটক এক নারী স্বীকার করেছেন তিনি পিকেক গেরিলাদের সঙ্গে জড়িত।
এ ঘটনার পরই তুরস্ক প্রতিবেশী দুই দেশে কুর্দি গেরিলাদের অবস্থানে বিমান হামলা চালিয়েছে।
তুর্কি প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, জাতিসংঘ সনদের ৫১ নম্বর অনুচ্ছেদ অনুযায়ী তুরস্কের আত্মরক্ষার অধিকার আছে এবং এ অনুচ্ছেদ অনুসারে উত্তর ইরাক ও সিরিয়ায় বিমান হামলা চালানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: কাতার বিশ্বকাপে জঙ্গি হামলার ছক কষছে আইএস
উল্লেখ্য, তুরস্ক ও যুক্তরাষ্ট্র উভয়ই পিকেকে-কে একটি সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হিসেবে বিবেচনা করে। তবে সিরিয়ায় আইএসআইএল (আইএসআইএস) গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ওয়াশিংটনের সঙ্গে জোটবদ্ধ সিরিয়ার কুর্দি গোষ্ঠীগুলোর অবস্থান নিয়ে দ্বিমত পোষণ করে।
একাত্তর/এসজে
মন্তব্য
এই নিবন্ধটি জন্য কোন মন্তব্য নেই.