বিশ্বকাপের যাত্রা শুরু করতে যাচ্ছে লিওনেল মেসিরা। টানা ৩৭ জয়ের রেকর্ড গড়ার জন্য এবার তাদের মুখোমুখি হতে হবে সৌদি আরবকে। ফিফার র্যাংকিং কিংবা হেড টু হেড হিসাব করলে অনেকটা সহজ প্রতিপক্ষ মনে হলেও চ্যালেঞ্জ জানাতে প্রস্তুত গ্রিন ফেলকনরা।
২০১২ সালে সৌদি আরবে ইন্টারন্যাশনাল ফ্রেন্ডলি ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিলো এই দুই দল।এরপর এবার সরাসরি বিশ্বকাপেই দেখা। ফর্মের তুঙ্গে থাকা আর্জেন্টিনা যে একদম হেসে-খেলেই জিতে যাবে সেটাও বলা যাচ্ছে না। কারন মেসি নিজেই বলেছিলেন এটা বিশ্বকাপ, এখানে যে কোনো কিছুই ঘটতে পারে।
সৌদি আরবের সঙ্গে এখন পর্যন্ত চারবার মুখোমুখি হয়েছে আর্জেন্টিনা। দুই জয়ের বিপরীতে কোনো হার নেই, দুটি ম্যাচে সৌদি আরব ড্র করতে সক্ষম হয়েছে। স্বাভবিকভাবেই গোল সংখ্যাতেও এগিয়ে আছে ল্যাটিন দলটি। চার ম্যাচে তাদের গোল সংখ্যা সাত, বিপরীতে সৌদির গোল তিনটি।
এদিকে সমর্থকদের বিশ্বাস এবার কাপ জিতবে আর্জেন্টিনা। কিন্তু আর্জেন্টাইন কোচ স্কোলনি সংবাদ সম্মেলনে বলছেন, আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ জিততেই হবে, তিনি তা মনে করেন না। তবে কথাটা যে তিনি তার খেলোয়াড়দের মাথা থেকে চাপ কমানোর জন্য বলেছে, সেটা ধারণা করে নেওয়া মোটেও বোকামি হবে না।
এদিকে সালমান আর ফরাজদের কোচ হার্ভে রেনার্ড বলেছেন, আমরা একটি সম্মানজনক ম্যাচ উপহার দিবো সৌদি আরবকে। তিনি আরও, বলেন আমরা দোহায় এই সিটি উপভোগ করতে আসিনি।
হেড টু হেডে যেমন ছিল আর্জেন্টিনা-সৌদি আরব
প্রথম দু’বার দেখা হয় ১৯৮৮ সালে বিকেন্টিনিয়াল কাপে। প্রথম ম্যাচে আর্জেন্টিনার সঙ্গে ২-২ গোলে ড্র করে সৌদি আরব। কিন্তু পরের ম্যাচেই তারা ২-০ গোলে হেরে যায়। এরপর ১৯৯২ সালে কনফেডারেশন্স কাপে আবারও আর্জেন্টিনা জয় লাভ করে ৩-১ গোলে। সব শেষ ২০১২ সালে একটি ফ্রেন্ডলি ম্যাচে তারা শেষ মুখোমুখি হয়েছিলো। যেখানে তারা মেসি নেতৃত্বাধীন আর্জেন্টিনার সাথে গোল শূন্য ম্যাচে ড্র করে।
আজ বাংলাদেশ সময় বিকাল চারটায় কাতারের লুসাইল স্টেডিয়ামে ‘সি’ গ্রুপের এই দুই দল বিশ্বকাপ লড়াইয়ে মাঠে নামবে।
একাত্তর/আরআই/এসি
মন্তব্য
এই নিবন্ধটি জন্য কোন মন্তব্য নেই.