ফুটবল খেলায় সাধারণত দেখা যায় ৫-৬ মিনিট অতিরিক্ত সময় দেওয়া হয়। কিন্ত এবার দেখা দেখা যাচ্ছে ১০ মিনিটের বেশি অতিরিক্ত সময় দেওয়া হচ্ছে প্রায় প্রতি ম্যাচেই। মূলত ফিফার নতুন নিয়ম অনুযায়ী এবারের বিশ্বকাপে অতিরিক্ত সময় দেওয়া হচ্ছে।
সাধারণত ম্যাচ চলাকালীন কোনো ইনজুরি বা অন্য কোনো কারণে যতক্ষণ খেলা বন্ধ থাকে সেই সময়টা অতিরিক্ত সময় হিসাবে যোগ করা হয়, এবং সেটা সাধারণত ৫-৬ মিনিট হয়ে থাকে। যেমন ইরান-ইংল্যান্ড ম্যাচেই দেখা গেছে- ইরানের গোলকিপার চোট পেলে প্রায় আট মিনিট খেলা বন্ধ থাকে প্রথম আর্ধে। কিন্তু অতিরিক্ত সময় দেওয়া হয় ১৪ মিনিট। দ্বিতীয়ার্ধেও কমবেশি বেশ কিছুক্ষণ খেলা বন্ধ থাকায় প্রায় ১২০ মিনিট খেলোয়াড়রা মাঠে ছিলেন।
তবে এবার নিয়মে আনা হয়েছে পরিবর্তন। ফিফার নতুন নিয়মে শুধুমাত্র চোটের জন্যই নয়, গোল উদযাপন, থ্রো-ইন, খেলোয়াড় বদল এই সব কিছুর জন্যই যতক্ষণ খেলা বন্ধ থাকবে নির্ধারিত সময়ের শেষে তা যোগ করা হবে।
ফিফার রেফারি কমিটির সভাপতি পিয়ারলুইজি কলিনা ইএসপিএনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, এই বছর যেন কেউ যোগ করা সময় বেশি দেখলে অবাক না হয়। এটা প্রায় প্রতি ম্যাচেই ৬-৭ মিনিট হতে পারে। একটা গোল হলে সেটা উদযাপন করতে গিয়েই এক মিনিটের বেশি চলে যায়। কয়েকটা গোল হলে পাঁচ, ছয় মিনিটও চলে যায়। আমরা এই ব্যাপারগুলো আরও নিখুঁত করার কথা ভাবছি। এখানে অবশ্য ভিএআর থাকবে না। সেটার জন্য আলাদা করে সময় হিসেব করা হবে।
আরও পড়ুন: ভরসা রাখুন, আমরা হতাশ করবো না: মেসি
এখন পর্যন্ত এই আট ম্যাচ মিলে প্রায় ১১২ মিনিট অতিরিক্ত সময় খেলানো হয়েছে, যা গড়ে প্রতি ম্যাচে ১৪ মিনিট করে হয়। মূলত ফিফার এই নতুন নিয়মের জন্যই এই বাড়তি সময় দেওয়া হচ্ছে এবার।
একাত্তর/এসি
মন্তব্য
এই নিবন্ধটি জন্য কোন মন্তব্য নেই.