গত বিশ্বকাপের তৃতীয় স্থান অর্জন করা দল বেলজিয়াম এবারের কাতার বিশ্বকাপেও হট ফেভারিট। কিন্তু কানাডার বিপক্ষে মাত্র এক গোলের বিবর্ণ জয় দিয়ে বিশ্বকাপ অভিযান শুরু তাদের।
ম্যাচের মাত্র ৮ মিনিটেই পেনাল্টি পায় কানাডা। মনে হচ্ছিল আরেকটা অঘটন ঘটতে যাচ্ছে। কিন্তু সে যাত্রায় বেলজিয়ামকে বাচিয়ে দেন থিবো কোর্তোয়া। শেষ পর্যন্ত ফেনেরবাচের ফরোয়ার্ড বাতসুয়াইয়ের একমাত্র গোলে জয় নিয়ে মাঠ ছেড়েছে বেলজিয়াম।
ম্যাচের শুরু থেকেই আক্রমণ-প্রতি আক্রমণ করে উভয় দল। তবে গোলের দেখা মিলছিল না। ম্যাচের ৯ মিনিটে পেনাল্টি পেয়েও মিস করে কানাডা। বেলজিয়ামের ডি-বক্সের ভেতর কারাসকোর হাতে বল লাগলে রেফারি পেনাল্টির সিদ্ধান্ত দেন। কিন্তু পেনাল্টি থেকে গোল করতে ব্যর্থ হন কানাডার বায়ার্ন মিউনিখ তারকা আলফোনসো ডেভিস।
কোর্তোয়া ডান পাশে ঝাপিয়ে পড়ে ডেভিসের মাটি কামড়ানো শট রুখে দেন। রিবাউন্ডেও বল গোলবারের বাইরে মারেন লারিয়া। আর এরই সঙ্গেই ৫৬ বছর পর কোন বেলজিয়াম গোলরক্ষক হিসেবে বিশ্বকাপে পেনাল্টি সেভ করলেন এই রিয়াল মাদ্রিদ তারকা।
তবে প্রথমার্ধের শেষ সময়ে (৪৪ মিনিট) অল্ডারউয়েরেল্ডের বাড়ানো বলে বাতসুয়াইর অন টাচ শট পায় জালের ঠিকানা। ১-০ গোলে এগিয়ে থেকেই বিরতিতে যায় বেলজিয়াম।
ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধে উভয় দলই আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণ চালিয়ে গেলেও গোলের দেখা পায়নি কেউই। দ্বিতীয়ার্ধেও বেলজিয়ামের উপর দাপট দেখাতে থাকে কানাডা।
ম্যাচের ৪৯ মিনিটে ডেভিডের হেড একটুর জন্য গোলবারের বাইরে চলে যায়।
আরও পড়ুন: কোস্টারিকাকে ৭ গোলে উড়িয়ে বিশ্বকাপ শুরু স্পেনের
ম্যাচের ৬৯ মিনিটে এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ পেয়েছিল বেলজিয়াম। ডিবক্সের ভেতর বাতসুয়াইর শট ব্লক করে দেন লারিয়া। ৮১ মিনিটে গোলের আবারও সুযোগ পেয়েছিল কানাডা। কিন্তু ডেভিডের কিরা হেড দুর্দান্তভাবে ঝাপিয়ে রুখে দেন কুর্তোয়া।
একাত্তর/জো
মন্তব্য
এই নিবন্ধটি জন্য কোন মন্তব্য নেই.