২০১৪ বিশ্বকাপ জয়ের পরের বিশ্বকাপেই গ্রুপ পর্ব থেকে বিদায়। এবারও জার্মানির গ্রুপপর্বের পারফরম্যান্স হতশ্রী। গ্রুপ পর্বের প্রথম ম্যাচে জাপানের কাছে হারে ধারনা করা হচ্ছিলো, এবারও জার্মানির বিশ্বকাপের আশায় গুড়েবালি। তবে কাতার বিশ্বকাপে মুলারের দলটি একটুর জন্য হলেও টিকে থাকলো। আর তাতেই দানাবাঁধছে সমর্থকদের মনে।
রোববার দিবাগত রাতের ম্যাচটি জার্মানির জন্য ছিল বাঁচা-মরার লড়াই। হারলেই শঙ্কা শেষ ষোলো থেকে বাদ পড়ার। প্রথমে গোল খেয়ে সে আশঙ্কা চোখও রাঙাচ্ছিল। অবশেষে ম্যাচের শেষদিকে জার্মানদের বাঁচিয়ে দেন নিকোলাস ফুলক্রুগ। তার গেfলে স্পেনের সঙ্গে পিছিয়ে পড়েও ১-১ গোলে ড্র করেছে জার্মানি। এ জয়ে টিকে রইলো জার্মানদের শেষ ষোলোর আশা।
শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক খেলে স্পেন। ছিল পাসের ফুলঝুরি। কোস্টারিকাকে সাত গোলের বন্যায় ভাসানো স্পেন এদিন শুরুতেই গোল পেতে পারতো।
২৫ মিনিটে সুযোগ পেয়েছিল জার্মানি। স্পেনের ভুল ডিফেন্সের সুযোগ নিয়ে শট মেরেছিলেন নাব্রি। বল গোলপোস্টের বাইরে দিয়ে বেরিয়ে যায়। নয়ারের ভুল ক্লিয়ারেন্স থেকে সুযোগ পেয়েছিল স্পেনও। কিন্তু কাজে লাগাতে পারেনি।
৪০ মিনিটে কিমিখের ফ্রিকিক থেকে মাথা ছুঁইয়ে গোল করেছিলেন রুডিগার। কিন্তু রেফারি জানিয়ে দিলেন, তিনি অফসাইড। এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ হাতছাড়া জার্মানির। গোলশূন্য অবস্থায় বিরতিতে যায় উভয় দল।
অবশেষে ৬২ মিনিটে গেলের দেখা পায় স্পেন। জার্মানির রক্ষণের ভুলের সুযোগ নিয়ে গোল করেন আলভারো মোরাতা। বাঁ দিকে বল পেয়েছিলেন জর্ডি আলবা। তার ক্রস থেকে চলতি বলে পা ঠেকিয়ে গোল করলেন বদলি হিসাবে নামা আলভারো মোরাতা।
গোল শোধে শেষের দিকে মরিয়া হয়ে আক্রমণ চালায় জার্মানি। তার ফলও মেলে। ৮৩ মিনিটে সমতা ফেরায় জার্মানি। একার কৃতিত্বে স্পেনের ডিফেন্সকে ঘোল খাইয়ে বক্সের ভিতরে ঢুকে পড়লেন মুসিয়ালা। তার থেকে বল পেয়ে গোল করেন ফুলক্রুগ।
একাত্তর/এসি
মন্তব্য
এই নিবন্ধটি জন্য কোন মন্তব্য নেই.