নিজের দলকে সমর্থন জানাতে কাতার বিশ্বকাপে দর্শক হয়ে এসেছেন ক্রোয়াট মডেল ইভানা নোল। আর এসেই নানা ঢঙের খোলামেলা পোশাকের কারণে আলোচিত-সমালোচিত হচ্ছেন তিনি।
মরক্কোর বিরুদ্ধে ক্রোয়েশিয়ার ম্যাচে আল-বায়ত স্টেডিয়ামে তাকে দেখা গিয়েছিলো নিজের দেশের পতাকার রঙে রাঙানো লম্বা আঁটসাঁট গাউনে। এসময় হুডি দিয়ে তার মাথা ঢাকা থাকলেও, নিচু নেকলাইনের সেই জামা পরিহিত ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ করতেই শুরু হয় বিতর্ক। অনেকেই স্থানীয় সংস্কৃতির দোহাই দিয়ে প্রশ্ন তোলেন তার পোশাক নিয়ে।
তবে সেসব সমালোচনাকে মোটেই পাত্তা দেননি ইভানা। উল্টো দোহার সৈকতে বিকিনি পরে হাজির হন তিনি। আর তাতেই বিতর্কের আগুনে যেন ঘি পড়ে।
কানাডার বিপক্ষে ক্রোয়েশিয়ার দ্বিতীয় ম্যাচে ইভানাকে দেখা যায় একই প্রিন্টের খাটো একটি ফ্রক পরতে। কাঁধ খোলা সেই জামায় তাকে দেখাচ্ছিল ঠিক যেন পুতুলের মতো।
অনেকেই আশঙ্কা করছিলেন কাতারের যা নিয়ম, তাতে এ ধরণের পোশাক পরার জন্য জেলে যেতে হতে পারে তাকে।
তবে ইভানা বলেছেন, তিনি গ্রেপ্তার হওয়া নিয়ে ভীত নন। অন্যের কোনও ক্ষতি তো তিনি করছেন না। এমনকি কাতারের অনেক মানুষ তার সঙ্গে ছবি তুলতে আসেন। যদি কাতারের মানুষ তাকে ঘৃণা করতেন, তাদের যদি তার ব্যাপারে আপত্তি থাকত, তাহলে তারা এসব করতেন না।
বিশ্বকাপ ফুটবল দেখতে আসা বিদেশি দর্শকদের মার্জিত পোশাক পরার পরামর্শ দিচ্ছে কাতারের কর্তৃপক্ষ। দেশটিতে আগত নারী ফুটবলভক্তদের খোলামেলা পোশাক পরা থেকে বিরত থাকতে বলছে তারা। এ ক্ষেত্রে কাতারের কর্তৃপক্ষ দেশটিতে বিদ্যমান আইনের কথাও বিদেশি ফুটবলভক্তদের মনে করিয়ে দিচ্ছে।
অন্যদিকে ফিফার ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, ফুটবলভক্তরা কাতারে তাদের পছন্দের পোশাক পরতে পারেন। তবে তাদের দেশটির আইনকে সম্মান করতে হবে।
আরও পড়ুন: হিজাব আইন সংস্কারের চিন্তাভাবনা করছে ইরান
৩০ বছর বয়সী ইভানা নোলের জন্ম হয়েছিলো জার্মানিতে। তবে খুব অল্প বয়সে ক্রোয়েশিয়ায় থাকতে শুরু করেন তিনি। আর সেজন্যই জার্মানির পরিবর্তে ক্রোয়েশিয়ার ফুটবল দলের সমর্থক তিনি।
মিস ক্রোয়েশিয়ার মুকুট জেতা ইভানার নিজের একটি সুইমস্যুট ও বিকিনির ব্যবসা রয়েছে। নিজের ব্র্যান্ডের মডেলও তিনি।
একাত্তর/এসজে
মন্তব্য
এই নিবন্ধটি জন্য কোন মন্তব্য নেই.