২০১৫ সালে দেশের মাঠে প্রথম দুই ম্যাচ জিতেই ভারতের বিপক্ষে স্মরণীয় সিরিজ জয় নিশ্চিত করেছিল বাংলাদেশ। সাত বছরের আগের দিনটি কী আজ মিরপুরে ফিরে আসবে? আজকের ম্যাচ জিতলে সাত বছরের আগের সিরিজ জয়ের স্বাদ পাবে বাংলাদেশ। মিরপুরে যেন সেই হাতছানিই দিচ্ছে। তবে টেইল এন্ডারদের ঘাড়ে ভর করে প্রথম ম্যাচ পার হওয়া বাংলাদেশের টপ ওর্ডারদের আজকে ভূমিকা রাখার বিকল্প নেই।
বাংলাদেশ-ভারত ওয়ানডে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচটি টাইগাররা আজ জিতলে নিশ্চিত হয়ে যাবে সিরিজও। তবে সেই সিরিজের পুনরাবৃত্তি ঠেকাতে চাইবে ভারত। হাত ফসকে প্রথম ম্যাচ বের হয়ে যাওয়া ভারত আজ সিরিজে টিকে থাকতে মাঠে নামবে।
বুধবার (৭ ডিসেম্বর) দুপুর ১২টায় মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে শুরু হবে তিন ম্যাচ সিরিজের দ্বিতীয় এ ম্যাচ।
প্রথম ওয়ানডেতে ভারতের শক্তিশালী ব্যাটিং লাইনআপকে ১৮৬ রানেই ধ্বসিয়ে দিয়েছিল বাংলাদেশ। শুধু মিরপুরের পিচের কথা বলা কেন? মিরপুরের পিচ স্পিনারদের সাহায্য করে থাকে হয়তো। কিন্তু বাঁহাতি স্পিনে শুধু সাকিব আল হাসানই নন, গতিতে ভারতীয়দের নাকাল করেছেন এবাদত হোসেনও।
এদিকে বাংলাদেশের হেড কোচ রাসেল ডোমিঙ্গ বলেছেন, ২০১৬ সালের অক্টোবরে ইংল্যান্ডের কাছে হারার পর দেশের মাঠে আর কোনো দ্বিপাক্ষিক সিরিজ হারেনি বাংলাদেশ। তিন সংস্করণের মধ্যে ওয়ানডেতেই বাংলাদেশ সবচেয়ে ধারাবাহিক ও এই সংস্করণে মোটামুটি প্রতিষ্ঠিত শক্তি। সিরিজ জয়ের আত্মবিশ্বাস থাকাও তাই খুব স্বাভাবিক।
ভারত যে ঘুরে দাঁড়াতে মরিয়া থাকবে, বাংলাদেশ দলও তা জানে। তবে স্নায়ুর চাপ সামলাতে পারলে বাংলাদেশই জিতবে।
তিনি বলেছেন, এই সংস্করণে বাংলাদেশ দল আত্মবিশ্বাসী। দেশের মাঠে আমাদের রেকর্ড ভালো। ভারতের বিপক্ষে মাঠে নামলে বাড়তি একটা রোমাঞ্চের ব্যাপারও আছে। তবে কাজটা সহজ হবে না। ভারত তো মানসম্পন্ন দল। শক্তভাবে ঘুরে দাঁড়াতে চাইবে ওরা।
একাত্তর/এসি
মন্তব্য
এই নিবন্ধটি জন্য কোন মন্তব্য নেই.