ঢাকা ২৮ মে ২০২৩, ১৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩০

কাতারের বিশাল সব স্টেডিয়াম ও হোটেলের ভবিষ্যৎ কী

একাত্তর অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ১৮ ডিসেম্বর ২০২২ ১৪:১২:২১ আপডেট: ১৮ ডিসেম্বর ২০২২ ১৪:১৭:৫১
কাতারের বিশাল সব স্টেডিয়াম ও হোটেলের ভবিষ্যৎ কী

বিশ্বকাপকে ঘিরে ব্যাপক লোকের আনাগোনা ছিলো কাতারে। প্রায় ৭ লাখেরও বেশি লোক এসেছিলেন খেলা দেখতে। কিন্তু আজ রোববার (১৮ ডিসেম্বর) ফাইনালের পর অনেক লোক তাদের নিজ নিজ দেশে ফিরে যাবেন।

ফলে কাতারের সব হোটেল এবং অন্যান্য ব্যবসায় হুট করেই ধস নামার সম্ভাবনা রয়েছে। দেশটির রিয়েল এস্টেট এজেন্ট এ নিয়ে চিন্তিত।

দেশটিতে এখনো অনেক ভবন নির্মাণাধীন। যেগুলো নির্মাণের পর হয়তো লোকের অভাবে খালি পড়ে থাকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

এছাড়া বিশাল যেসব স্টেডিয়াম খেলা উপলক্ষ্যে নির্মাণ করা হয়েছিল তার অনেকগুলো আর কখনোই ব্যবহার করা হবে না।


বলা হয়ে থাকে, যখন ২০১০ সালে দিকে কাতারে ফুটবল বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হওয়ার ঘোষণা দেয়া হয় তখন অনেক ফুটবল ভক্তই মানচিত্রে কাতারকে খুঁজে পেতেন না সহজে।

এরপর মাত্র কয়েকবছরের মধ্যেই পাল্টে যায় চিত্র। প্রায় ৩০০ বিলিয়ন ডলার খরচ করে কাতার সরকার।

বলা হচ্ছে, বেশ ব্যয়বহুল এক প্রচারণা চালানো হয়েছে বিশ্বকাপকে ঘিরে। এবং পৃথিবীর প্রায় অর্ধেক লোক ফাইনাল খেলাটি দেখবেন।

সূত্র বলছে, এখন থেকেই ফুটবল ভক্তরা নিজ নিজ দেশে ফিরতে শুরু করেছেন। তাছাড়া অনেক অভিবাসী শ্রমিকও নিজ দেশে ফিরে গিয়েছেন। আর বাকিরা ফাইনালের পরেই ফিরে যাবেন। ফলে হোটেলগুলো আর কখনোই ভর্তি হবেনা বলে ধারণা করা হচ্ছে।


কাতারের মতো ছোট দেশকে বিশ্বকাপ আয়োজন করতে দেওয়ায় প্রথম থেকেই এ নিয়ে সমালোচনা ছিলো।

২০১০ সালে ব্ল্যাটার যুগে ১৪–৮ ভোটে যুক্তরাষ্ট্রকে পেছনে ফেলে বিশ্বকাপের আয়োজক হয় কাতার।

কখনো বিশ্বকাপে না খেলা মধ্যপ্রাচ্যের ছোট্ট দেশটি কী করে ৩২ দেশ নিয়ে একটি আসরের আয়োজক হয়ে গেল, তাতে বিস্ময় ছড়ায়।

সে সময় অভিযোগ ওঠে ফিফার দুর্নীতিতে কাতারের বিশ্বকাপ আয়োজনের স্বত্ব পেয়েছে।

আরও পড়ুন: মেসি না এমবাপে, কার মাথায় উঠবে জয়ের মুকুট?

জানা যায়, ৮০ হাজার ধারণক্ষমতা সম্পন্ন লুসাইল আইকনিক স্টেডিয়ামটির বেশিরভাগ আসন সরিয়ে পরবর্তীতে অন্য কাজে ব্যবহার করা হবে।

এছাড়া বেদুইন তাবুর আদলে নির্মিত আল-বায়াত স্টেডিয়ামটিরও বিশ্বকাপের পর স্টেডিয়ামটির ছাদ সরিয়ে ফেলার পরিকল্পনা রয়েছে। দোহার ৩৫ কিলোমিটার দুরে অবস্থিত উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় অন্যতম ব্যস্ত শহর হিসেবে আল-খোর পরিচিত।


দোহার পশ্চিমাঞ্চলে আল-রাইয়ান শহরের বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের মধ্যে অবস্থিত এডুকেশন সিটি স্টেডিয়ামটির ধারণক্ষমতা অর্ধেকে নামিয়ে আনা হচ্ছে।

দোহার স্টেডিয়াম ৯৭৪ বিশ্বকাপের পর পুরোপুরি ভেঙে ফেলা হবে। বহনযোগ্য হওয়ার এটি বাংলাদেশে আনতে চায় বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন। এরইমধ্যে এ জন্য কাতার ফুটবল ফেডারেশনের সঙ্গে বাফুফে যোগাযোগ শুরু করেছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।


একাত্তর/আরএ

মন্তব্য

এই নিবন্ধটি জন্য কোন মন্তব্য নেই.

আপনার মন্তব্য লিখুন

Nagad Ads