‘ঢাকার বনানী থানার সাবেক পরিদর্শক (তদন্ত) সোহেল রানা ভারতে সাজাপ্রাপ্ত হয়েছেন। তিনি বর্তমানে আলীপুরের প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারে রয়েছেন বলে এক প্রতিবেদনের মাধ্যমে হাইকোর্টকে জানিয়েছে পুলিশ সদর দপ্তর।’
এমন খবর সামনে আসার পরে খোঁজ নিয়ে জানা গিয়েছে সোহেল রানার এই অবস্থান প্রায় ৪২ দিনের পুরনো। বর্তমানে জামিন পেয়ে ফেরার হয়ে গিয়েছেন বাংলাদেশের হাই প্রোফাইল এই বন্দী।
কোচবিহার জেলার পুলিশ সুপার সুমিত কুমারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে গভীর রাতে তিনি সোহেল রানার বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে জানান।
পুলিশের বিবৃতি অনুযায়ী ২০২২ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি ভারতে অবৈধ অনুপ্রবেশের অভিযোগে তার সাজা ঘোষণা করেন কলকাতা হাইকোর্টের জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চ। এরপর থেকে কলকাতা প্রেসি জেলেই ছিলেন অভিযুক্ত সোহেল রানা। কিন্তু জেলে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে ২০২২ সালের ডিসেম্বর মাসে জামিনের আবেদন করেন তিনি। মেখলিগঞ্জ থানায় প্রতি সপ্তাহে সশরীরে হাজিরা দিতে হবে এবং মেখলিগঞ্জ থানা এলাকার বাইরে যাওয়া যাবেনা এমন শর্তে ২০২২ সালের ৮ ডিসেম্বর তার জামিন মঞ্জুর করে আদালত।
কিন্তু এরপর থানায় সশরীরে হাজিরা দেওয়ার পরিবর্তে একবার মাত্র ইমেইল করেন তিনি। জানান, শারীরিক অবস্থার অবনতির জন্য উন্নত চিকিৎসা নিচ্ছেন তিনি।
এ বিষয়ে কোচবিহার জেলা সদর হাসপাতালের চিকিৎসা সংক্রান্ত কিছু কাগজও থানায় ইমেইল করেন তিনি।
কিন্তু তার অবস্থান সম্পর্কে জানাননি কোন তথ্য। এরপরেই চলতি জানুয়ারি মাসে সোহেল রানার বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে অবহিত নন বলে হাইকোর্টের প্রতিবেদন দাখিল করেছে মেখলিগঞ্জ থানার পুলিশ।
আরও পড়ুন: রাজধানীর ফ্ল্যাট থেকে সাংবাদিকের মরদেহ উদ্ধার
প্রসঙ্গত, ই-অরেঞ্জ কাণ্ডের পর ভারতে অবৈধ অনুপ্রবেশের পর শিলিগুড়ি হয়ে নেপালে কথিত বোনের কাছে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছিলেন সোহেল রানা। ভুটান-নেপাল-বাংলাদেশ সীমানা ঘেরা শিলিগুড়ি করিডোর থেকে কোচবিহারের মেখলিগঞ্জ মাত্র কয়েক কিলোমিটার দূরে।
পুলিশের অনুমান উন্মুক্ত ভারত নেপাল সীমান্তের সুযোগ নিয়ে ফের নেপালে পালানোর চেষ্টা চালাতে পারেন সোহেল রানা।
একাত্তর/আরএ
মন্তব্য
এই নিবন্ধটি জন্য কোন মন্তব্য নেই.