ঢাকা ২৫ মার্চ ২০২৩, ১১ চৈত্র ১৪২৯

মাহেদীর ঝড়ো ইনিংসে উড়ে গেল ঢাকা

একাত্তর অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ৩০ জানুয়ারী ২০২৩ ২১:৪৪:৫৩ আপডেট: ৩০ জানুয়ারী ২০২৩ ২৩:২৭:৪৩
মাহেদীর ঝড়ো ইনিংসে উড়ে গেল ঢাকা

মাহেদী হাসানের ঝড়ো ইনিংসের সুবাদে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের নবম আসরে হ্যাট্টিক জয়ের স্বাদ পেলো রংপুর রাইডার্স।

সোমবার টুর্নামেন্টের ২৯তম ম্যাচে রংপুর ৫ উইকেটে হারিয়েছে ঢাকা ডমিনেটর্সকে। ৪৩ বলে ৭২ রানের ম্যাচ জয়ী ইনিংস খেলেন মাহেদী।

এই জয়ে ৮ ম্যাচে ৫ জয় ও ৩ হারে ১০ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের চতুর্থস্থানে রংপুর। ৯ ম্যাচে ২ জয় ও ৭ হারে ৪ পয়েন্ট নিয়ে ষষ্ঠস্থানে রয়েছে ঢাকা।

সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আজ  দিনের প্রথম ম্যাচে টস জিতে প্রথমে বোলিংয়ের সিদ্বান্ত নেন রংপুরের অধিনায়ক নুরুল হাসান।

রংপুরের বোলারদের তোপে শুরুতেই চাপে পড়ে ঢাকা। ২৮ রান তুলতেই  ৩ উইকেট হারায় রাজধানীর দলটি। ঢাকার দুই ওপেনার মিজানুর রহমানকে ৫ ও সৌম্য সরকার ১১ রানে শিকার হন  রংপুরের আফগানিস্তানী পেসার আজমতুল্লাহ ওমারজাইর। চার নম্বরে নামা ইংল্যান্ডের অ্যালেক্স ব্লেককে ৪ রানে থামিয়ে দেন স্পিনার মাহেদী হাসান।

শুরুর ধাক্কাটা সামলে দলকে খেলায় ফেরান উমসান ও মোহাম্মদ মিথুন। চতুর্থ উইকেটে ৩৭ বলে ৪১ রানের জুটি গড়েন তারা। ১২তম ওভারে উসমান ও মিথুনের জুটি ভাঙ্গেন রংপুরের স্পিনার রাকিবুল হাসান। ১৫ বলে ১৪ রান করে বোল্ড হন মিথুন।

মিথুন ফেরার পর অধিনায়ক নাসির হোসেনের সাথে রানের চাকা সচল রাখেন উসমান। ১৭তম ওভারের প্রথম বলে বাউন্ডারির সহায়তায় এবারের আসরে নিজের প্রথম হাফ-সেঞ্চুরি তুলে নেন তিনি। উসমানের ঐ বাউন্ডারিতেই দলের রান একশ' স্পর্শ করে।

পাকিস্তানের পেসার হারিস রউফের করা ১৮তম ওভারে নাসিরের ১টি করে চার-ছক্কায় ১৪ রান পায় ঢাকা। পরের ওভারে রান আউট হওয়ার আগে ৩টি চার ও ১টি ছক্কায় ২২ বলে ২৯ রান করেন ঢাকার অধিনায়ক।

ইনিংসের শেষ ওভারে রউফের বলে ২টি ছয় ও ১টি চার-এ ১৮ সংগ্রহ পায় ঢাকা। শেষ পর্যন্ত ২০ ওভারে ৫ উইকেটে ১৪৪ রান করে ঢাকা। ৭টি চার ও ৩টি ছক্কায় ৫৫ বলে ৭৩ রানে অপরাজিত থাকেন ঘানি। রংপুরের ওমারজাই ২৭ রানে ২ উইকেট নেন। মাহেদি ও রাকিবুল ১টি করে শিকার করেন।

জয়ের জন্য ১৪৫ রানের টার্গেট পেয়ে ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই হোচট খায় রংপুর। ৫ বল খেলে রানের খাতা খোলার আগেই পাকিস্তানী পেসার সালমান ইরশাদের বলে বিদায় নেন ওপেনার মোহাম্মদ নাইম।

শুরুতে উইকেট পড়লেও ভড়কে যাননি আরেক ওপেনার রনি তালুকদার ও মাহেদী হাসান। মাহেদী ঝড়ে পাওয়ার প্লেতে ৪৮ রান পায় রংপুর। এসময় ৩টি চার ও ২টি ছক্কায় ২৬ রান তুলেন মাহেদি। ১৮ বলে ১৮ রান করেন রনি।

নবম ওভারের প্রথম দুই বলে বাউন্ডারির মারার পরের ডেলিভারিতে আফগানিস্তানের আমির হামজার বলে আউট হন ৫টি চারে ২৮ বলে ২৯ রান করা রনি।

এরপর বিদায় নেন ৬ রান করা শোয়েব মালিক। ৭ রানের ব্যবধানে রংপুরের ২ উইকেট পড়লেও, রানে চাকা সচল রাখেন মাহেদী। ১৩তম ওভারের এবারের আসরে প্রথম ও টি-টোয়েন্টিতে সপ্তম হাফ-সেঞ্চুরির দেখা পান তিনি। এজন্য ৩১ বল খেলেছেন মাহেদী।

তার হাফ-সেঞ্চুরির পর আউট হন অধিনায়ক নুরুল হাসান। ৬ রান করেন তিনি। ১৭তম ওভারে মাহেদিকে শিকার করে ঢাকাকে খেলায় ফেরার সুযোগ করে দেন আল-আমিন। ৪৩ বলে ৬টি চার ও ৫টি ছছক্কায় ৭২ রান করেন মাহেদি।

এরপর  ষষ্ঠ উইকেটে অবিচ্ছিন্ন ২৩ রান তুলে ১ ওভার বাকী থাকতেই রংপুরের জয় নিশ্চিত করেন ওমারজাই ও নাওয়াজ। ওমারজাই ২টি চারে ৮ বলে ১২ ও নাওয়াজ ১টি করে চার-ছক্কায় ১৫ বলে ১৭ রানে অপরাজিত থাকেন। ঢাকার সালমান ২টি উইকেট নেন।


একাত্তর/আরবিএস  

মন্তব্য

এই নিবন্ধটি জন্য কোন মন্তব্য নেই.

আপনার মন্তব্য লিখুন

Nagad Ads