ঢাকা ২০ মার্চ ২০২৩, ৬ চৈত্র ১৪২৯

৫০ হাজার বছর পর পৃথিবীর আকাশে এক বিরল ধুমকেতু

একাত্তর অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ১৮:৫২:১৪ আপডেট: ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ১৯:২৮:২৬
৫০ হাজার বছর পর পৃথিবীর আকাশে এক বিরল ধুমকেতু

৫০ হাজার বছর পর আবার দেখা দিয়েছে ‘অ্যা রেয়ার গ্রিন কমেট’ নামের ধূমকেতু। ভারতের কাশ্মীরে লাদাখের আকাশে এটিকে সম্প্রতি দেখা গেছে। অ্যাস্ট্রোফোটোগ্রাফারেরা ইতোমধ্যেই এর সুন্দর আকর্ষণীয় ছবিও তুলেছেন।

পৃথিবী ও মঙ্গলের কক্ষপথের মাঝে ঘণ্টায় প্রায় দুই লাখ সাত হাজার কিলোমিটার বেগে ঘুরে বেড়াচ্ছে সবুজ রঙের এই ধূমকেতুটি। এর নিউক্লিয়াসের আয়তন ১ দশমিক ৬ কিলোমিটার, আর এর লেজটি সুদীর্ঘ। কয়েক লাখ কিলোমিটার দীর্ঘ। 

বরফ যুগের পর প্রথমবারের মতো পৃথিবীর কাছাকাছি এসেছে বিরল সবুজ ধুমকেতু। কমেট ই-৩ নামক এই ধূমকেতুটি প্রায় ৫০ হাজার বছর পর পৃথিবী থেকে দেখা যাচ্ছে। 

এবার পৃথিবী অতিক্রম করে গভীর মহাকাশে ফিরে যাওয়ার পর, বর্তমান পৃথিবীতে বসবাসকারী কোনও ব্যক্তি ধূমকেতুটিকে আর দেখতে পাবে না।

ধূমকেতুটি যত সামনে আসবে তত উজ্জ্বল লাগবে। বিজ্ঞানীরা বলছেন, ১০ ফেব্রুয়ারির দিকে  মঙ্গলের কাছাকাছি এই ধূমকেতুটিকে দেখা যাবে। ধূমকেতু থেকে এই মহাকাশের, মহাশূণ্য এবং  এই সৌরজগতের ও এর সৃষ্টির নানা বিরল তথ্য জানা যায়।

ক্যালিফোর্নিয়ার পালোমার অবজারভেটরিতে জেডটিএফ টেলিস্কোপ ব্যবহার করে জ্যোতির্বিজ্ঞানী ব্রাইস বলিন এবং ফ্রাঙ্ক মাসি সর্বপ্রথম বিরল এই ধূমকেতুটি আবিষ্কার করেন। এ প্রসঙ্গে ব্রাইস বলিন বলেন, ধূমকেতু শনাক্ত করার জন্য তিনি একটি সিস্টেম সক্রিয় করেছিলেন। 

যা প্রতি রাতে গভীর মহাকাশের শত শত ছবি নিতে সক্ষম। তবে রাতের আকাশে তিনি এমন কিছু খুঁজে পাবেন যা আগে কখনও কোনও জীবিত মানুষ দেখেনি তা তিনি ভাবতে পারেননি।

তিনি বলেন, ধূমকেতুর কেন্দ্রে থাকা সবুজ নিউক্লিয়াস ও ঘনীভুত এলাকার কারণে একে সবুজ দেখায়। এটি অনেক ধীর গতিতে পৃথিবীকে প্রদক্ষিণ করবে, ফলে লম্বা সময় ধরে দেখা যাবে।

সবুজ রঙের অতিকায় লেজ বিশিষ্ট এই ধূমকেতুটির নিউক্লিয়াসের আয়তন প্রায় এক দশমিক ছয় কিলোমিটার। পৃথিবী থেকে ধূমকেতুটি প্রায় ২৮ মিলিয়ন মাইল দূরে অবস্থান করছে।


একাত্তর/এআর

মন্তব্য

এই নিবন্ধটি জন্য কোন মন্তব্য নেই.

আপনার মন্তব্য লিখুন

Nagad Ads