ঢাকা ২৮ মে ২০২৩, ১৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩০

সৌদিতে অস্বাভাবিক হারে বেড়েছে মৃত্যুদণ্ড

একাত্তর অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ১১:১৩:১৪ আপডেট: ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ১১:২৮:৫৫
সৌদিতে অস্বাভাবিক হারে বেড়েছে মৃত্যুদণ্ড

সৌদি আরবে অস্বাভাবিক হারে মৃত্যুদণ্ড বেড়ে যাবার ঘটনায় উদ্বেগ জানিয়েছে দুইটি আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনগুলো। সে সঙ্গে মানবাধিকার লঙ্ঘন ও নির্যাতনের মতো ঘটনাও বেড়েছে।

এই সংগঠনগুলোর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আগের আবদুল্লা বিন আবদুল আজিজ আল সৌদের তুলনায় মৃত্যুদণ্ডের সংখ্যা বেড়ে দ্বিগুণ হয়েছে পশ্চিম এশিয়ার বৃহত্তম দেশটিতে। 

২০১৫ সালের আবদুল্লার প্রয়াণের পর তাঁর সৎ ভাই সলমন বিন আবদুল আজিজ বাদশাহ হন। পরে তিনি সব ক্ষমতা যুবরাজ সালমানের হাতে তুলে দেন। 

মানবাধিকার সংগঠন ‘রিপ্রাইভ’ এবং ‘দ্য ইউরোপিয়ান সৌদি অর্গানাইজেশন ফর হিউম্যান রাইটস’-এর সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে সৌদিতে মৃত্যদণ্ডের পরিসংখ্যান। 

দুটো প্রতিবেদনক বলছে, ২০১৪ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত সময়ে সৌদি আরবে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার গড় হার ছিলো ৭০ দশমিক আট শতাংশ। 

কিন্ত, ২০১৫ সালে যুবরাজ সালমান সৌদি আরবের সুলতান হওয়ার পর ওই বছর এই হার বেড়ে হয়েছে ১২৯.৫ শতাংশ। যাকে রীতিমতো ভয়ংকর বলছেন মানবাধিকারকর্মীরা।

আরও পড়ুন: এবার এশিয়ার শীর্ষ ধনীর পদও হারালেন আদানি

সাম্প্রতিক একটি পরিসংখ্যানে দেখা গিয়েছে প্রশাসনিক কাজে যুবরাজ মোহম্মদ বিন সলমনের সক্রিয়তা বাড়ার পরে সৌদি আরবে মৃত্যুদণ্ডের হার অস্বাভাবিক ভাবে বেড়ে গিয়েছে। 

২০২২ সালে সে দেশের ১৪৭ জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে। এর মধ্যে শুধুমাত্র মার্চ মাসেই ৮১ জনের! এঁদের মধ্যে বেশ কয়েক জন রাজনৈতিক অভিযুক্তও রয়েছেন। 

সমালোচকদের খুন করার অভিযোগও রয়েছে যুবরাজের বিরুদ্ধে। যুবরাজের কট্টর সমালোচক সাংবাদিক জামাল খাশোগিকে ২০১৮ সালে, তুরস্কের ইস্তানবুলের সৌদি দূতাবাসে খুন করা হয়েছিলো বলে অভিযোগ আছে। বলা হয়, সালমনের নির্দেশেই হয়েছিল সেই হত্যাকাণ্ড।


একাত্তর/আরবিএস  

মন্তব্য

এই নিবন্ধটি জন্য কোন মন্তব্য নেই.

আপনার মন্তব্য লিখুন

Nagad Ads