ঢাকা ২৫ মার্চ ২০২৩, ১১ চৈত্র ১৪২৯

মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠানোর পদ্ধতিতে পরিবর্তন চায় বায়রা

ঝুমুর বারী, একাত্তর
প্রকাশ: ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ১১:৫৪:৪৯
মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠানোর পদ্ধতিতে পরিবর্তন চায় বায়রা

মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠানোর পদ্ধতি ত্রুটিপূর্ণ এবং কর্মীবান্ধব নয় বলে দাবি করেছে রিক্রুটিং এজেন্সিদের সংগঠন বায়রা। তারা বর্তমান পদ্ধতিতে পরিবর্তন চান।

কোন কোন এজেন্সি মনে করে, মন্ত্রণালয়ের অসহযোগিতা ও অতিরিক্ত অভিবাসন ব্যয় মালয়েশিয়ার বাজারে কর্মী পাঠাতে বড় বাধা।

তবে বিশ্লেষকরা বলছেন, সব পক্ষ এক সাথে কাজ করলে মালয়েশিয়ার বাজারে বছর প্রতি দুই লাখ কর্মী পাঠানো সম্ভব। এতে বাড়বে বৈদেশিক মুদ্রার আয়।

এদেশের মানুষের কাছে সবচেয়ে প্রচলিত ও জনপ্রিয় মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার। ধর্ম, ভৌগলিক দূরত্ব, আবহাওয়া ও সংস্কৃতির সাথে মিল থাকায় দেশটিতে সবচেয়ে বেশি কর্মী যায়।

২০২১ সালের ডিসেম্বরে কর্মী নিতে চুক্তির আট মাস পর আগস্টে কর্মী যাওয়া শুরু হয়। এই সময় প্রতিদ্বন্দ্বী দেশ নেপাল কয়েক গুণ কর্মী নেয় মালয়েশিয়া। দেশটিতে বিদেশী কর্মীর ব্যাপক চাহিদার পরও বাংলাদেশ সে সুযোগ নিতে পারেনি। বায়রা মনে করে, সরকারের বর্তমান প্রক্রিয়া ও পদ্ধতির কারণেই সুযোগ নেয়া যায়নি।

মালয়েশিয়াতে যে পদ্ধতিতে কর্মী যায় তার নাম এফডাব্লিউসিএমএইচ। এটি ঐ দেশের সরকারের ঠিক করে দেয়া অনলাইন পদ্ধতি।

এই পদ্ধতিতে কর্মীর মেডিক্যাল থেকে শুরু করে ভিসা ঢাকা সংগ্রহ ও বিতরণ করে। কোন কোন এজেন্সি বলছে পদ্ধতির জটিলতার কারণে কর্মীকে অতিরিক্ত ব্যয় করতে হয়।

আরও পড়ুন: চলতি বছরেই ট্রেনে চেপে যাওয়া যাবে কক্সবাজারে

বায়রার সদস্যরা অবশ্য বলছেন, একে অন্যকে দোষারোপ করে কেবল নিজেদের স্বার্থের কথা ভাবলে বর্তমান সমস্যার সমাধান সম্ভব নয়।

বর্তমানে মূলত চার সেক্টরে কর্মী যাচ্ছে মালয়েশিয়া। বিশ্বজুড়ে অর্থনৈতিক মন্দার প্রভাব পড়ায় দেশটির নিয়োগকারীরাও কর্মী নেয়া কমিয়ে দিয়েছে।


একাত্তর/আরএ

মন্তব্য

এই নিবন্ধটি জন্য কোন মন্তব্য নেই.

আপনার মন্তব্য লিখুন

Nagad Ads