ঢাকা ২০ মার্চ ২০২৩, ৬ চৈত্র ১৪২৯

ঋণপত্র খুলতে না পেরে ব্যবসা গুটিয়ে নেয়ার চিন্তা

কাবেরী মৈত্রেয়, একাত্তর
প্রকাশ: ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ১১:৫৯:০৮
ঋণপত্র খুলতে না পেরে ব্যবসা গুটিয়ে নেয়ার চিন্তা

কোভিড মহামারীর মতো দুঃসময়েও কর্মী ছাঁটাই হয়নি। কিন্তু এখন ভোগ্যপণ্য আমদানির ঋণপত্র খুলতে না পেরে ব্যবসা গুটিয়ে নেয়ার কথা ভাবছেন অনেক ব্যবসায়ী। 

তারা বলছেন, বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে বার বার নির্দেশনা দেয়া হলেও ব্যাংকগুলো ভোগ্যপণ্যের ঋণপত্র খুলতে ধীরে চলো নীতি অব্যাহত রেখেছে। 

আসছে রোজার সময়ে এর প্রভাব ব্যাপকভাবে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন ব্যবসায়ীরা। এতে নিত্যপণ্যের দাম আরেক দফা বেড়ে যাবে বলেও মত তাদের।  

প্রায় এক দশকেরও বেশি সময় ধরে খাদ্যপণ্য আমদানির ব্যবসা করেন আনোয়ার হোসেন। তার প্রতিষ্ঠানে কাজ করেন কমপক্ষে ৯০ জন কর্মী।

গেলো তিন মাস ধরে বদলে গেছে তার অবস্থা। পণ্য আমদানির ঋণপত্র খুলতে পারছেন না তিনি। এখন ব্যবসা টিকিয়ে রাখাই তার জন্য চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। 

রমজান সামনে রেখে যারা ডাল, সয়াবিন তেলের মতো অতিপ্রয়োজনীয় ভোগ্যপণ্য আমদানি করতে চান তারাও আছেন বিপাকে। 

ডলার সংকটের কারণে ব্যবসায়ীরা যে চাহিদা অনুযায়ী পণ্য আমদানি করতে পারছেন না তার প্রমাণ মিলছে বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যতেও। 

বছরের ব্যবধানে আমদানিতে ঋণপত্র খোলার পরিমাণ যেমন কমেছে তেমনি কমেছে ভোগ্য পণ্য আমদানিও। ব্যাংকাররা বলছেন, এনিয়ে দারুণ বিপাকে আছেন তারা। 

আরও পড়ুন: আমরণ অনশনের হুমকি চবি চারুকলা শিক্ষার্থীদের

এর আগে, একাধিকবার বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা আভাস দিয়েছিলেন যে, নতুন বছর নাগাদ ডলার সংকট মিটে যাবে।

কেবল ভোগ্য পণ্য নয় ডলার সংকটে মুলধনী যন্ত্রপাতি আমদানি নিয়েও সঙ্কট তৈরি হয়েছে। 

এদিকে, ঋণপত্র খোলায় কেন্দ্রীয় ব্যাংক কড়াকড়ি আরোপ করলেও, ব্যবসার প্রয়োজনে এলসি খোলার ক্ষেত্রে শিথিলতা চায় বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকস (বিএবি)।


একাত্তর/আরবিএস 

মন্তব্য

এই নিবন্ধটি জন্য কোন মন্তব্য নেই.

আপনার মন্তব্য লিখুন

Nagad Ads