মিয়ানমারে সামরিক অভ্যুত্থান ও দেশটির নেতা অং সান সু চিকে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দেয়ার দুই বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে বুধবার "নীরব ধর্মঘট" পালন করছেন দেশটির গণতন্ত্রপন্থীরা। দেশটিতে এখনও রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক অস্থিরতা অব্যাহত রয়েছে।
ব্রিটিশ সংবামাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নীরব ধর্মঘট পালনের উদ্দেশ্যে বুধবার (১ ফেব্রুয়ারি) বিক্ষোভকারীরা নাগরিকদের বাড়ির ভেতরে থাকতে এবং ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখতে আহ্বান জানান। এর ফলে বড় বড় শহরের রাস্তাগুলো অনেকটাই ফাঁকা হয়ে যায়।
এদিকে দেশটিতে জরুরি অবস্থার মেয়াদ আরও ছয় মাস বাড়িয়েছে সামরিক প্রশাসন।
এ বিষয়ে আন্দোলনকর্মী থিনজার শুনলেই ই বলেন, সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ অব্যাহত রয়েছে, বিশেষ করে গ্রামাঞ্চলে।
তিনি আরও বলেন, নীরব ধর্মঘটের মূল বার্তাটি হলো, রাষ্ট্রীয় নেতাদের সম্মান জানানো এবং আমাদের অধিকার পুনরুদ্ধার করা।
তিনি যোগ করেন, আমাদের উদ্দেশ্য হলো সামরিক বাহিনীকে একটি পরিষ্কার বার্তা পাঠানো যে, তারা "আমাদের শাসন করবে না"।
এর আগে ২০২০ সালের নভেম্বরে নির্বাচনে বিপুল ভোটে জয়লাভ করে দেশটির গণতান্ত্রিক নেতা অং সান সু চির দল। কিন্তু ভোটা জালিয়াতির অভিযোগে ২০২১ সালের ১ ফেব্রুয়ারি অভিযান চালিয়ে সব নেতাকে বন্দি করে ক্ষমতা দখলে নেয় জান্তা সরকার। অভ্যুত্থানের পর থেকে সহিংসতার কারণে বাস্তুচ্যুত হয়েছে ১০ লাখেরও বেশি মানুষ। এখনও আটক রয়েছে কয়েক হাজার লোক।
জাতিসংঘের মতে, জান্তা সরকার বেসামরিকদের ওপর বোমা হামলাসহ নানাভাবে হামলা চালিয়েছে যা যুদ্ধাপরাধের শামিল।
আরও পড়ুন: এবার এশিয়ার শীর্ষ ধনীর পদও হারালেন আদানি
মিয়ানমারের একটি মানবাধিকার গ্রুপ বলছে, সামরিক বাহিনী ক্ষমতা দখলের পর থেকে মিয়ানমারে দুই হাজার নয়শ' ৪০ জন ব্যক্তি নিহত হয়েছে।
এদিকে সামরিক কর্মকর্তারা বলছেন, চলতি বছর আগষ্ট মাসে তারা একটি নির্বাচনের পরিকল্পনা করছেন। তবে কিছু পর্যবেক্ষক বলছেন, ক্ষমতা ধরে রাখার জন্য নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে জান্তা হয়তো নির্বাচন স্থগিত করে দিতে পারে।
একাত্তর/আরবিএস
মন্তব্য
এই নিবন্ধটি জন্য কোন মন্তব্য নেই.