ঢাকা ২০ মার্চ ২০২৩, ৬ চৈত্র ১৪২৯

দশকের সবচেয়ে বড় ধর্মঘট দেখলো ব্রিটেন

একাত্তর অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ১৪:৪২:০৬ আপডেট: ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ১৫:০১:১৪
দশকের সবচেয়ে বড় ধর্মঘট দেখলো ব্রিটেন

ব্রিটেনে বেতন-ভাতা বৃদ্ধি এবং কাজের উন্নত পরিবেশের দাবিতে লাখ লাখ শিক্ষক, বাস ও রেলচালক এবং সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ধর্মঘট পালন করেছেন। গতকালের এই ধর্মঘটকে কয়েক দশকের মধ্যে সবচেয়ে বড় ধর্মঘট বলে মনে করা হচ্ছে। ইংল্যান্ড এবং ওয়েলসের প্রায় পাঁচ লাখ মানুষ এ ধর্মঘটে অংশ নেন।

বিবিসি ও সিএনএনের খবরে বলা হয়েছে, বুধবার ব্রিটেনের অর্ধেকের বেশি স্কুল শিক্ষক এ ধর্মঘটে অংশ নেন, যার ফলে বন্ধ ছিল দেশটির বেশিরভাগ স্কুল। শিক্ষকদের ধর্মঘটের কারণে সরাসরি প্রভাব পড়েছে অন্তত ২৩ হাজার স্কুলের ওপর। 

গতকাল যে পাঁচ লাখ মানুষ ধর্মঘটে অংশ নিয়েছে তার মধ্যে শুধু স্কুল, কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের শিক্ষকই ছিলেন তিন লাখ। আগামী দিনে এ সংখ্যা আরও বাড়বে বলে ধারণা সংশ্লিষ্টদের। 

ধর্মঘটে অংশ নেন লেবার পার্টির সাবেক নেতা হলেন জেরেমি করবিন

ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক এ ধর্মঘটের নিন্দা জানিয়ে বলেছেন, এদিন লাখ লাখ শিশু স্কুল মিস করতে বাধ্য হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, আমাদের বাচ্চাদের শিক্ষা মূল্যবান এবং তারা স্কুলে পড়তে চায়। এসময় বিক্ষোভকারীদের শান্ত থাকতে আহ্বান জানান তিনি।   

বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, ঋষি সুনাক ও তার সরকার ইউনিয়নগুলোর বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়েছে। অন্যদিকে শিক্ষক, নার্স ও চালকদের বেতনভাতার প্রশ্নে সরকার টালবাহানা করছে। 

এদিকে একই সময়ে ট্রেডস ইউনিয়ন কংগ্রেস যা ৪৮টি ইউনিয়নের প্রতিনিধিত্ব করে, একটি সরকারি বিলের প্রতিবাদে যুক্তরাজ্যজুড়ে ৭৫টিরও বেশি সমাবেশ করছে। ফলে অনেক অঞ্চলে অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়। 

ধর্মঘটে যোগ দেয়া লোকজন বলছেন, যে পরিমাণ বেতন বাড়ানো হয়েছে তা পণ্যমূল্য বৃদ্ধি এবং মূল্যস্ফিীতির তুলনায় খুবই কম। সেক্ষেত্রে এত কম অর্থে জীবনযাপন করা তাদের পক্ষে কঠিন হয়ে পড়েছে। ফলে বাধ্য হয়ে তারা এই ধর্মঘটের পথ বেছে নিয়েছেন।

তারা জানান, দ্রুত বেতন বৃদ্ধিসহ সরকারি সুযোগ-সুবিধা বাড়ানো না হলে আরও বড় আন্দোলনের নামবেন তারা।   

তবে ব্রিটিশ সরকার শুরু থেকেই এ ধর্মঘটকে অন্যায্য বলে আসছে। সংসদে এ নিয়ে উত্তেজনাও তৈরি হয়েছে চলতি সপ্তাহে। কিন্তু আগের অবস্থানেই অনড় ক্ষমতাসীন টরি পার্টি।    

ব্রিটিশ শিক্ষামন্ত্রী জিলিয়ান কেগান বলেন, এখন একটি নজিরবিহীন অর্থনীতির সময় চলছে, এ সময় বেতন বাড়ানো হলে তাতে পরিস্থিতি আরও খারাপ হবে।

অন্যদিকে শিক্ষকরা এ বিষয়ে সরকারের নিষ্ক্রিয়তাকে দায়ি করছেন। তারা বলছেন, সরকার আগেই যথাযথ ব্যবস্থা নিলে বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থীর লেখাপড়া ক্ষতিগ্রস্ত হতো না।


একাত্তর/আরবিএস  

মন্তব্য

এই নিবন্ধটি জন্য কোন মন্তব্য নেই.

আপনার মন্তব্য লিখুন

Nagad Ads