গত জানুয়ারিতে ইরান থেকে ইয়েমেন যাওয়ার পথে ওমান উপসাগরে ফরাসি নৌবাহিনী হাজার হাজার অ্যাসল্ট রাইফেল, মেশিনগান এবং অ্যান্টি-ট্যাঙ্ক মিসাইল জব্দ করেছে বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা।
তাৎক্ষণিকভাবে আটকের বিষয়টি স্বীকার করেনি ইরান। তবে অস্ত্রের ছবিগুলো তেহরানের সাথে সংযুক্ত অন্যান্য চালানে আটক করা অস্ত্রের ছবির সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বুধবারের (১ ফেব্রুয়ারি) বিবৃতিতে কোন বাহিনী এই অভিযানের নেতৃত্ব দিয়েছে তা নির্দিষ্ট করেনি, শুধু বলেছে যে তারা 'অংশীদার নৌবাহিনীর দ্বারা আটকে' 'সহায়তা' করেছে।
ইউক্রেন যুদ্ধে অস্ত্র দেয়া এবং ইরানে বিক্ষোভকারীদের লক্ষ্য করে কয়েক মাস ধরে চলা সহিংস ক্র্যাকডাউনের জন্য ইরান ক্রমবর্ধমান পশ্চিমা চাপের মুখে রয়েছে।
ইরানের মধ্যাঞ্চলীয় শহর ইস্পাহানে একটি সামরিক ওয়ার্কশপে সন্দেহভাজন ইসরাইলি ড্রোন হামলার পর আঞ্চলিক উত্তেজনাও বেড়েছে।
গত ১৫ জানুয়ারি ওমান উপসাগরে চালানটি বাজেয়াপ্ত করা হয়, যেটি হরমুজ প্রণালী থেকে আরব সাগর এবং ভারত মহাসাগরে প্রসারিত হয়েছে।
এই ঘটনা 'ঐতিহাসিকভাবে ইরান থেকে ইয়েমেনে অবৈধভাবে অস্ত্র পরিবহনের জন্য ব্যবহৃত রুট বরাবর' ঘটেছে বলে দাবি করেছে মার্কিন সেন্ট্রাল কমান্ড।
জাতিসংঘের একটি প্রস্তাব ইয়েমেনের ইরান-সমর্থিত হুথি বিদ্রোহীদের কাছে অস্ত্র হস্তান্তর নিষিদ্ধ করেছে, যারা ২০১৪ সালে দেশটির রাজধানী দখল করে নেয়। ২০১৫ সালের মার্চ থেকে দেশটির আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত সরকারকে সমর্থনকারী সৌদি নেতৃত্বাধীন জোটের সাথে যুদ্ধ করছে হুথি বিদ্রোহীরা।
ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল প্রথম অভিজাত ফরাসি বিশেষ বাহিনী কর্তৃক অস্ত্র জব্দের বিষয়ে রিপোর্ট করে। পরে কজন আঞ্চলিক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, ফরাসিরা অপারেশনটি চালিয়েছিল।
আরও পড়ুন: ইউক্রেনীয়দের নির্যাতনের কথা স্বীকার সাবেক রুশ কর্মকর্তার
তবে এ ব্যাপারে মন্তব্যের অনুরোধে সাড়া দেয়নি ফরাসি সেনাবাহিনী। এ ব্যাপারে কোনও প্রশ্নের জবাব দেয়নি মার্কিন সেন্ট্রাল কমান্ড ও জাতিসংঘে ইরানের মিশন।
ইরান দীর্ঘদিন ধরে হুথিদের অস্ত্র দেওয়ার কথা অস্বীকার করেছে, যদিও পশ্চিমা দেশগুলো, জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞরা এবং অন্যান্যরা তেহরান থেকে নাইট-ভিশন স্কোপ, রাইফেল এবং ক্ষেপণাস্ত্র আসার কথা জানিয়েছে।
মন্তব্য
এই নিবন্ধটি জন্য কোন মন্তব্য নেই.