এই সরকারের অধীনে সুষ্ঠু ভোট সম্ভব না বলে মন্তব্য করেছেন বগুড়া-৪ আসনে উপ-নির্বাচনের পরাজিত স্বতন্ত্র প্রার্থী হিরো আলম। এমন পরিস্থিতিতে আর নির্বাচন করবেন না বলেও জানিয়েছেন তিনি।
বৃহস্পতিবার (২ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে বগুড়া জেলা সিনিয়র নির্বাচন কার্যালয়ে এসে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপে এমন কথা বলেন তিনি।
হিরো আলম জানান, নন্দীগ্রাম উপজেলার ৩৯টি কেন্দ্রের ভোটের ফলাফল ঘোষণা করে নির্বাচন সংশ্লিষ্টরা। কিন্তু এরপরের ১০টি কেন্দ্রের ভোট গণনা বাদ দিয়েই মোট ফলাফল একবারে দেয়া হয়। কেন্দ্রগুলোতে কতো ভোট পেয়েছেন তা জানতে পারেননি তিনি। তখন সবগুলো কেন্দ্রের ফলাফল প্রকাশ করার দাবি জানান।
পাশাপাশি ফল খতিয়ে দেখার জন্য হাইকোর্টে রিট করার কথা জানান তিনি। আগামী রোববার হাইকোর্টে রিট করবেন তিনি। এ কারণে নির্বাচন অফিসে প্রয়োজনীয় নথি তুলতে আসেন বৃহস্পতিবার।
রিটে কাঙ্ক্ষিত ফলাফল না পেলে কি করবেন এমন প্রশ্নে আলোচিত এই ইউটিউবার বলেন, ‘এই রকম নির্বাচনের পরিবেশ থাকলে, নির্বাচন করার আর দরকার নেই। সুষ্ঠু নির্বাচনের নামে যেভাবে কারচুপি করেছে তারা। কারচুপি করে আমাকে হারিয়েছে’।
তিনি বলেন, ‘আমার মতো লোকের কাছে টক্কর দিয়ে হেরে যাবে, এটা তাদের জন্য লজ্জাজনক। এ জন্য আমার মতো লোকের ভোটও ছিনিয়ে নেয় তারা’।
হিরো আলম আরও বলেন, ‘এই সরকারের অধীনে সুষ্ঠু ভোট করা সম্ভব না। কারণ এই ছয়-সাতটা আসনে যদি ফেয়ার নির্বাচন দিত, আমরা বুঝতাম এবার একটা ভালো নির্বাচন দিয়েছে। এখানেও কারচুপি করেছে।’
উল্লেখ্য, বুধবার বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) আসনের উপনির্বাচনে মহাজোটের প্রার্থী এ কে এম রেজাউল করিম তানসেনের কাছে মাত্র ৮৩৪ ভোটের ব্যবধানে হেরে যান হিরো আলম।
পরে সেদিন রাতে সংবাদ সম্মেলনে ১০ কেন্দ্রে ফল পাল্টানোর অভিযোগ তোলেন স্বতন্ত্র প্রার্থী হিরো আলম। গণমাধ্যমে এটি দেখার পর সিইসি ফোন করে বিষয়টি খতিয়ে দেখার নির্দেশ দেন।
আরও পড়ুন: আইএমএফের ঋণের প্রথম কিস্তি পেলো বাংলাদেশ
জেলা সিনিয়র নির্বাচন কর্মকর্তা মাহমুদ হাসান বলেন, ‘বগুড়া-৪ আসনের ভোটের ফলাফল হিরো আলম সন্দেহ প্রকাশ করছেন। তিনি আমাদের কাছে কোনো অভিযোগ করেননি। তিনি মূলত আমাদের কাছে ভোটের ফলাফল জানতে এসেছেন। এ জন্য ফলাফল শিট তাকে প্রিন্ট করে দিয়েছি’।
তবে ভোটের ফল সঠিক দাবি করে এখানে কোনো সমস্যা বা ভুল নেই বলে উল্লেখ করেন এই কর্মকর্তা।
একাত্তর/এসজে
মন্তব্য
এই নিবন্ধটি জন্য কোন মন্তব্য নেই.