রমজান মাসে চিনি, খেজুর, ছোলা, ভোজ্য তেল এবং পেঁয়াজ নিয়ে কোন সমস্যা হবে না বলে আশাবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংকের।
এই পাঁচ পণ্য আমদানিতে জানুয়ারি মাসে খোলা এলসির তথ্য দিয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলেছে, এখন দরকার সংশ্লিষ্ট সব সংস্থার নিবিড় তদারকি।
বৃহস্পতিবার (২ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে বাংলাদেশ ব্যাংকের কনফারেন্স হলে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান, প্রতিষ্ঠানটির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. মেজবাউল হক।
তিনি বলেন, সংশ্লিষ্ট সবাই এক সঙ্গে কাজ করলে রমজানে নিত্যপণ্যের ঘাটতি থাকবে না। গত বছরের জানুয়ারির তুলনায় এ বছর অনেক বেশি এলসি খোলা হয়েছে বলেও দাবি করা হয়।
মেজবাউল হক জানান, রমজান মাসে তেল, চিনি, ছোলা, পেঁয়াজ ও খেজুরের চাহিদা সবচেয়ে বেশি থাকে। বাজার স্বাভাবিক রাখতে এসব পণ্য আমদানিতে সহযোগিতা করে যাচ্ছেন তারা।
মুখপাত্র বলেন, পণ্য পরিবহন ও সরবরাহ নিশ্চিত করা গেলে রমজানে কোনো পণ্যের ঘাটতি হবে না। এছাড়া রপ্তানি বৃদ্ধিতেও আমরা বিশেষ নজর রেখেছি।
গত নভেম্বর মাস থেকে প্রতি মাসে পাঁচ বিলিয়ন ডলারের পণ্য রপ্তানি হয়েছে। চলতি অর্থ বছরের জুলাই থেকে জানুয়ারি পর্যন্ত মোট রপ্তানি আয় হয়েছে ৩২ বিলিয়ন ডলার।
রেমিট্যান্স ও রপ্তানি মিলিয়ে গত সাতমাসে ৪৪ বিলিয়ন ডলারের আয় হয়েছে বলে জানান মেজবাউল হক। তিনি বলেন, রপ্তানি আয়ের বৈদেশিক মুদ্রা পুরোটা হাতে এসে পৌঁছায়নি।
আরও পড়ুন: আইএমএফের ঋণের প্রথম কিস্তি পেলো বাংলাদেশ
তিনি দাবি করেন, রপ্তানি এবং প্রবাস আয় ভালো হওয়ায় আমদানি ব্যয় মেটানোর পরও বেশ ভালো অংকের বিদেশি মুদ্রার মজুদ থাকছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নীতিমালা পরিবর্তনের বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, অর্থনৈতিক পরিস্থিতি বিবেচনা করেই হঠাৎ কোনো নীতিমালায় পরিবর্তন আনা যায় না।
মন্তব্য
এই নিবন্ধটি জন্য কোন মন্তব্য নেই.