ভূমিকম্পে বিধ্বস্ত তুরস্কের
বিভিন্ন শহর জুড়ে যখন চলছে প্রাণন্তকর উদ্ধার অভিযান, ঠিক সেই সময়ে আবারো প্রবল
কম্পনে কেঁপে উঠেছে দেশটি। স্থানীয় সময় ভোরে ভয়াবহ ভূমিকম্প ও একাধিক পরাঘাতের পর
বিকেলে তুরস্কের দক্ষিনা-পূর্বাঞ্চল প্রবল কম্পন অনুভূত হয়।
প্রথম কম্পনের ১২ ঘণ্টার মধ্যে তুরস্কের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে
দ্বিতীয় ভূমিকম্প আঘাত হানলো। এ কম্পনে হতাহত ও ক্ষয়ক্ষতির খবর এখনও জানা যায়নি। এই
ভূমিকম্পের এপিসেন্টার ছিলো কারমানমারাসের শহরের কাছে। সবশেষ ভূমিকম্প দামেস্কতেও অনুভূত
হয়েছে।
প্রদেশের এলবিট জেলা ছিলো এই দ্বিতীয় ভূমিকম্পের
কেন্দ্রস্থল। স্থানীয় সময় দুপুর ১টা ২৪ মিনিটে দ্বিতীয়বার ভূমিকম্প হয় সেখানে। দ্বিতীয়বারের
ভূমিকম্পের কারণে নতুন করে কী ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, তা স্পষ্ট করেনি তুরস্ক প্রশাসন।
ইস্তানবুলের কান্দিল্লি মানমন্দির শুধু জানিয়েছে,
ভোরবেলার থেকে খুব একটা কম ছিলো না এই দ্বিতীয় ভূমিকম্পের তীব্রতা। রিখটার স্কেলে
এই কম্পনের মাত্রা ছিল ৭.৫। যেখানে প্রথম কম্পনটির মাত্রা ৭.৮। দ্বিতীয় ভুমিকম্পের
গভীরতা ছিল দুই কিলোমিটার।
এর আগে সোমবার ভোরে প্রথম কম্পনের ১১-১৫ মিনিটের ব্যবধানে দ্বিতীয় বার কেঁপে ওঠে লেবানন, সিরিয়া এবং সাইপ্রাসের বিভিন্ন অংশ। ইউনাইটেড স্টেটস জিওলজিক্যাল সার্ভের মতে, এই কম্পনের তীব্রতা ছিল ৬.৭। সেক্ষেত্রে এটি তুরস্ক-সিরিয়ায় হওয়া তৃতীয় কম্পনও।
আরও পড়ুন: মৃত্যু ধ্বংসপুরীতে পরিণত তুরস্ক-সিরিয়ার বিশাল এলাকা
এবারের ভূমিকম্প ফিরিয়ে এনেছে ৮৪ বছর আগের স্মৃতি।
তখনকার তুরস্ক ঠিক একই মাত্রায় কেঁপে উঠেছিলো। তখনও হাজার হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছিলো।
বলা প্রয়োজন যে, পৃথিবীর মধ্যে তুরস্ক অন্যতম একটি ভূমিকম্প প্রবণ অঞ্চল হিসেবে পরিচিত।
এই ঘটনা আরেকটি অভিশপ্ত দিনের স্মৃতিকে মনে করিয়ে দিচ্ছে, তা হল ১৯৯৯ সাল। সে সময় সিরিয়া আর তুরস্কের বিস্তীর্ণ এলাকা কেঁপে উঠে। মৃত্যু হয়েছিল প্রায় দশ হাজার বেশি মানুষের। সেই কম্পন কারোর কাছে কোসায়েলি কম্পন, কারোর কাছে গোলকুক কম্পন, আবার কারোর কাছে ইজমিত কম্পন নামে পরিচিত। সেই সময় নিশ্চিহ্ন হয়ে গিয়েছিল দুটি গ্রাম।
একাত্তর/আরবিএস
মন্তব্য
এই নিবন্ধটি জন্য কোন মন্তব্য নেই.