ঢাকা ২০ মার্চ ২০২৩, ৬ চৈত্র ১৪২৯

আইএফএফকে দেয়া প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন করবে সরকার

কাবেরী মৈত্রেয়, একাত্তর
প্রকাশ: ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ২০:৫৩:৪০
আইএফএফকে দেয়া প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন করবে সরকার

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ঋণ পেতে দেশের ব্যাংকিং খাতে সুশাসন শক্তিশালী করা, রাজস্ব খাতে স্বচ্ছতা আনা ও দুর্নীতি প্রতিরোধে দুর্নীতি দমন কমিশনকে (দুদক) স্বাধীন ও স্বচ্ছভাবে কাজ করতে দেয়াসহ ৩৮টি প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলো সরকার। 

গেলো ২৩ ডিসেম্বর সংস্থার প্রধান বরাবর পাঠানো এক সমঝোতা স্মারকে, ২০২৬ সাল পর্যন্ত এই প্রতিশ্রুতিগুলো বাস্তবায়নের কথা বলেছেন অর্থমন্ত্রী ও বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর। 

গেলো সোমবার বাংলাদেশের জন্য ৪৭০ কোটি ডলার ঋণ অনুমোদন করেছে আন্তজার্তিক মুদ্রা তহবিল আইএমএফ। গেলো ২৩ ডিসেম্বর অর্থমন্ত্রী ও বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর যে ৩৮টি প্রতিশ্রুতি দিয়ে আইএমএফকে চিঠি দিয়েছিলেন সেটিও তুলে ধরেছে সংস্থাটি। 

যাতে বলা হয়েছে- আগামী তিন বছরের মধ্যে মূল্যস্ফীতি ৬ শতাংশের মধ্যে নামিয়ে আনা হবে। বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ থাকবে চার মাসের আমদানি ব্যয়ের সমান। 

ব্যাংক ঋণে সুদহারের সীমা তুলে দেওয়া, ডলারের দাম বাজারের ওপর ছেড়ে দেয়া, বিদ্যুৎ খাতে ভতুর্কি কমানো, সঞ্চয়পত্রের বিক্রি কমানো, আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ওপর বাংলাদেশ ব্যাংকের নিয়ন্ত্রন প্রতিষ্ঠা ও দুর্নীতির লাগাম টানা।

আগামী ২০২৬ সাল পর্যন্ত এসব সংস্কার কার্যক্রম চলমান থাকলেও কিছু কাজ করতে হবে অনেকটা জরুরি ভিত্তিতে, আগামী এক বছরের মধ্যে।

চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে যেসব সংস্কার কার্যক্রম সম্পন্ন করতে হবে, সেগুলো হলো এমন কর রাজস্বব্যবস্থা গ্রহণ করা, যাতে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেটের জিডিপির দশমিক পাঁচ শতাংশ অতিরিক্ত কর আদায় হয়।

আইএমএফ মনে করে, পৃথিবীর যেসব দেশে কর-জিডিপি অনুপাত সবচেয়ে কম, বাংলাদেশ তার একটি। কর আদায় কম হওয়ায় প্রয়োজনীয় খাতে যথেষ্ট বিনিয়োগ করা যায় না। তাই জুনের মধ্যে অর্থ মন্ত্রণালয়কে এ ব্যাপারে পদক্ষেপ নিতে বলেছে আইএমএফ।

পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী শামসুল আলম মনে করেন আইএমএফের পরামর্শগুলো ভালো, বাস্তবায়ন করা উচিত। তিনি বলেন, আইএমএফ যা করতে বলেছে, তা শর্ত নয়। এগুলো পরামর্শ। আইএমএফের পরামর্শগুলো আমাদের অর্থনীতিকে আরও সক্রিয় করতে সাহায্য করবে।

আরও পড়ুন: অ্যান্টিবায়োটিক বিক্রিতে জরিমানাসহ কড়াকড়ি আরোপ

তিনি আরও বলেন, এসব পরামর্শ পূরণে কোনো চাপ নেই। তবে আমরা আগে থেকেই আইএমএফের পরামর্শের কাজগুলো করছি। আইএমএফ বলছে, খেলাপি ঋণ কমাতে হবে। ইতিমধ্যে সেই পদক্ষেপ নেওয়াও হয়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ফরাস উদ্দীন মনে করেন ঋণের সুদ হার তুলে নিলে পণ্য ও সেবার খরচ বেড়ে বরং মুল্যস্ফিতি বাড়তে পারে। 

এদিকে আইএমএফকে দেয়া প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী, এ বছরই রিজার্ভ ব্যবস্থাপনায় পরিবর্তন ও জ্বালানি তেলের মূল্য সমন্বয়ের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। 


একাত্তর/আরবিএস  

মন্তব্য

এই নিবন্ধটি জন্য কোন মন্তব্য নেই.

আপনার মন্তব্য লিখুন

Nagad Ads