রাজবাড়ীতে দাম্পত্য নিয়ে দ্বন্দ্বে আগুনে পুড়ে একজনের মৃত্যু হয়েছে। নিহতের পরিবারের অভিযোগ, স্ত্রীর পরকীয়া নিয়ে দ্বন্দ্বে শ্বশুরবাড়ির লোকজন তাকে আগুনে পুড়িয়ে মেরেছে।
নিহত ব্যক্তির নাম মো. আলামিন (৩৭)। তিনি রাজবাড়ী সদর উপজেলার মো. হোসেন আলীর ছেলে।
সোমবার (৬ ফেব্রুয়ারি) বিকেল সাড়ে চারটার দিকে তিনি চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঢাকার শেখ হাসিনা বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটে মারা যান। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, আলামিনের শরীর ৯৫ শতাংশ দগ্ধ ছিল।
এর আগে গত শুক্রবার (৩ ফেব্রুয়ারি) জেলার গোয়ালন্দ উপজেলার দগ্ধ হওয়ার এ ঘটনা ঘটে।
নিহতের বোন বিথি আক্তার বলেন, স্ত্রী পরকীয়া জেনে যাওয়ায় তাদের দ্বন্দ্ব হয়। এরপর স্ত্রী তানিয়া বাবারবাড়ি চলে যান। আলামিন তাকে ফিরিয়ে আনতে গেলে শ্বশুরবাড়ির লোকেরা তার গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন দেয়।
তিনি জানান, বছর খানেক আগে আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের বিয়ে হয়। আলামিন বর্তমানে রাজধানীর রায়ের বাগ হাশেম রোডে একটি ভাড়া বাসায় পরিবার নিয়ে থাকতো। সে একটি প্রাইভেট ফার্মে চাকরি করতো।
দ্বন্দের কারণ হিসেবে বিথির দাবি, বিয়ের কয়েক মাস পর জানা যায় তানিয়া পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েছেন। পরকীয়ার কারণে তানিয়া গর্ভপাত করে ফেলে। এসব নিয়ে তাদের মধ্যে মনমালিন্য হয়।
বিথি বলেন, ঘটনার দিন কয়েকজন আত্মীয় নিয়ে আলামিন শ্বশুরবাড়িতে যায়। তখন তানিয়া সংসার করবেনা এবং ডিভোর্স দেবে বলে জানায়। পরে ওই আত্মীয়রা চলে এলেও থেকে যায় আলামিন।
আরও পড়ুন: মৃত্যু ধ্বংসপুরীতে পরিণত তুরস্ক-সিরিয়ার বিশাল এলাকা
বিথির অভিযোগ, ওই সময় আলামিনের স্ত্রী, শ্বশুর-শাশুড়ি, মামা আবুল কালাম, চাচা আজাহার, ও বাকের আগুন দিয়েছে। পরে ফোনে জানায় আলামিন নিজের গায়ে নিজেই আগুন দিয়েছে। তাকে উদ্ধার করে প্রথমে স্থানীয় হাসপাতালে এবং পারে ঢাকায় ভর্তি করা হয়।
ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক মো. বাচ্চু মিয়া জানান,
ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহটি হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে।
একাত্তর/এসি
মন্তব্য
এই নিবন্ধটি জন্য কোন মন্তব্য নেই.