রান্নার অপরিহার্য উপাদান রসুন। এই রসুনের রয়েছে নানা গুণ। রসুন খেলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়া। রসুন খেলে রক্তের কোলেস্টরল নিয়ন্ত্রণে থাকে। রান্নার দ্রুত পচন ঠেকাতে কাজ করে। মোট কথা রসুনের উপহার বলে শেষ করা যাবে না। তবেএটার যে শুধু উপকারই আছে তাই নয়, অনেকের জন্য এটি খাওয়া ক্ষতির কারণও হয়ে দাঁড়াতে পারে।
কোন কোন ক্ষেত্রে রসুন ক্ষতির কারণ হতে পারে, এমন প্রশ্নে পুষ্টিবিদরা বলছেন, সবচেয়ে বড় কথা অতিরিক্ত সব কিছুই খারাপ। তবে শরীরের বিশেষ বিশেষ অবস্থায় রসুন এড়িয়ে চলা কিংবা সীমিতি ব্যবহারের প্রয়োজন হয়। কিছু কিছু শারীরিক সমস্যায় রসুন ক্ষতির কারণ হতে পারে।
প্রথমত রসুন খেলে শরীরের রক্তচাপ বাড়তে সাহায্য করে। তাই যাঁদের নার্ভাসনেস, মাথা ঘোরা বা রক্তচাপের সমস্যা আছে তাঁদের রসুন খাওয়া কমাতে হবে। শরীরে রক্তের অভাব হলেও রসুন না খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন এখনকার পুষ্টিবিদরা।
দ্বিতীয়ত লিভার ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট নামক উপাদান রসুনে থাকে,
যার কারণে লিভারে টক্সিন জমতে পারে। এই পরিস্থিতিতে অতিরিক্ত রসুন খেলেও লিভারের ক্ষতি হতে পারে। তবে এটি সঠিক পরিমাণে সেবন করলে উপকার পাওয়া যায়।
তৃতীয়ত যাদের এসিডিটি বা বুক জ্বালাপোড়ার সমস্যা রয়েছে, তাঁদেরও রসুন খাওয়া কমাতে হবে। এমনটা না করলে তাঁদের বুকে জ্বালাপোড়া এবং ব্যথার সমস্যা বেড়ে যেতে পারে। এছাড়াও, তাঁদের খাওয়া-দাওয়াতে সমস্যা হতে পারে।
সবশেষ বমি ও ডায়রিয়ায় রসুন খাবেন না। যারা বমি এবং ডায়রিয়ার সমস্যায় ভুগছেন তাঁদের রসুন খাওয়া উচিত নয়। রসুনে গরমভাব থাকায়, এটি পেট গরম বা জ্বালাপোড়ার সমস্যা তৈরি করতে পারে। যার কারণে শরীরে অস্থিরতাসহ নানা ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে।
একাত্তর/এআর
মন্তব্য
এই নিবন্ধটি জন্য কোন মন্তব্য নেই.