ঢাকা ০৫ জুন ২০২৩, ২১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩০

ড. মুহাম্মদ ইউনূস প্রসঙ্গে যা বললেন প্রধানমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক, একাত্তর
প্রকাশ: ১৩ মার্চ ২০২৩ ২০:১৬:৩২ আপডেট: ১৩ মার্চ ২০২৩ ২০:৩৫:৩৭
ড. মুহাম্মদ ইউনূস প্রসঙ্গে যা বললেন প্রধানমন্ত্রী

ড. মুহাম্মদ ইউনূসের পক্ষে ৪০ জন বিশ্ব বরেণ্য ব্যক্তিত্বের লেখা চিঠি প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, এটার কী উত্তর দেব জানি না, তবে আমার একটা প্রশ্ন আছে। তাঁন প্রশ্ন হচ্ছে, ড. মুহাম্মদ ইউনূস এতো নামিদামি, নোবেল প্রাইজপ্রাপ্ত; তাঁর জন্য ৪০ জনের নাম খয়রাত করে এনে অ্যাডভার্টাইজমেন্ট (বিজ্ঞাপন) দিতে হবে কেনো বিদেশি পত্রিকায়। এটাই আমার প্রশ্ন- বিজ্ঞাপন কেন দিতে হলো?

সোমবার বিকালে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন তিনি এসব কথা বলেন। কাতার সফর সম্পর্কে জানাতে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। প্রথমে তিনি লিখিত বক্তব্য দেন। পরে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন। 

এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এটা বিবৃতি ঠিক না। এটা একটা অ্যাডভার্টাইজমেন্ট, ৪০ জনের নাম ব্যববহার করা হয়েছে। সেটা একজন বিশেষ ব্যক্তির পক্ষে। এটার উত্তর কী দেবো জানি না। তবে আমার একটা প্রশ্ন আছে- যিনি এতো নামিদামী নোবেল প্রাইজপ্রাপ্ত, তার জন্য ৪০ জনের নাম খয়রাত করে এনে অ্যাডভার্টাইজমেন্ট (বিজ্ঞাপন) দিতে হবে কেন বিদেশি পত্রিকায়। এটাই আমার প্রশ্ন, আর কিছু না।

ড. ইউনূসের বিষয়ে সরকারপ্রধান বলেন, যে যাই হোক আমাদের দেশে কতগুলো আইন আছে। সেই আইন অনুযায়ী সব চলবে এবং সেটা চলে। আমাদের বিচার বিভাগ সম্পূর্ণ স্বাধীন। আমরা শ্রমিকদের অধিকার রক্ষা করি। যারা ট্যাক্স ঠিক মতো দেয় তার জন্য আলাদা বিভাগ আছে। কেউ যদি এ সমস্ত বিষয়ে আইন ভঙ্গ করে বা শ্রমিকদের কোন অধিকার কেড়ে নেয় শ্রম আদালত আছে সেটা দেখে।

ড. ইউনূসের জন্য বিশেষ কিছু করার নেই উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, এক্ষেত্রে সরকার প্রধান হিসেবে আমার তো কিছু করার নেই। কাজেই এখানে আমাকেই বা কেন বলা হলো? এর বাইরে আমি আর কি বলবো! পদ্মা সেতু কিন্তু আমরা করে ফেলেছি।

আরও পড়ুন: রোজায় বেশি কিনে মজুদ না করতে প্রধানমন্ত্রীর আহবান

বিশ্বের বরেণ্য ৪০ জন ব্যক্তিত্ব ড. মুহাম্মদ ইউনূসের পক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে খোলা চিঠি লিখেন। যা ওয়াশিংটন পোস্টে প্রায় কোটি টাকা খরচ করে বিজ্ঞাপন আকারে গত ৭ মার্চ এ খোলা চিঠিটি প্রকাশিত হয়। পরের দিন এনিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করে ডেইলি স্টার। 

সংবাদ সম্মেলনে আরেক প্রশ্নের উত্তরে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী বলেন, পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ থেকে একের পর এক ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে ফোন দিয়েছিল। ফোন দেয়ার একটি কারণ; একজন ব্যক্তিকে একটি ব্যাংকের এমডি বানাতে হবে। একটা এমডি পদের মধ্যে কী মধু আছে সেটা আমি জানি না। একজন বিশেষ ব্যক্তিকে এমডি পদে রাখতে হবে। তারপর পদ্মা সেতুর অর্থয়ান বন্ধ করেছিল। পরে নিজেদের পয়সায় পদ্মা সেতু করেও তাদেরকে দেখিয়েছি।


একাত্তর/আরবিএস  

মন্তব্য

এই নিবন্ধটি জন্য কোন মন্তব্য নেই.

আপনার মন্তব্য লিখুন

Nagad Ads