১৯২০ সালের ১৭ মার্চ রাত আটটায় টুঙ্গিপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন শেখ পরিবারের আদরের ‘খোকা’। যিনি ধীরে ধীরে হয়ে উঠেছিলেন বাঙালির ‘মুজিব ভাই’ এবং ‘বঙ্গবন্ধু’।
বঙ্গবন্ধুর হাত ধরেই আসে বাঙালির স্বাধীনতা, জন্ম নেয় বাংলাদেশ। ৫৫ বছর বয়সে দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র কেড়ে নেন তার প্রাণ। জনতার নেতা মুজিব না থাকলেও তার আদর্শ ও অনুপ্রেরণা আজও বাঙালির মননে গেঁথে আছে।
এদিকে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে স্মৃতিচারণ করেছেন তার দৌহিত্র ও প্রধানমন্ত্রীর পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয়।
শুক্রবার (১৭ মার্চ) এক ফেসবুক পোস্টে জয় এমন একটি বার্তা জানান, যা এর আগে সেভাবে জানাই হয়নি। সেই সঙ্গে জুড়ে দেন একটি অসাধারণ ভিডিও।
জয় লেখেন- সাধারণ মানুষ আর শিশুদের ভালোবাসায় সিক্ত কেমন ছিল ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন? যে ইতিহাস অন্ধকারে ছিল সুদীর্ঘ বছর ধরে।
১৯৭৫ সালের মার্চের ১৭ তারিখ সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের পুরো রাস্তা ছিল তাঁর হাজার হাজার সমর্থক, দলীয় নেতা কর্মী আর সাধারণ মানুষের পদচারনায় মুখর। একসময় আমার নানা বঙ্গবন্ধু চলে আসলেন তাঁর বাড়ির গেটের কাছে, সেখানে দাঁড়িয়েই মানুষের ফুলেল শুভেচ্ছা গ্রহন করছিলেন তিনি। সাধারণ মানুষ আর বাচ্চাদের সাথে কুশল বিনিময় ও করমর্দন করতে ভুললেননি জনতার নেতা।
রাষ্ট্রপতি হিসেবে অনেক ব্যস্ত একটি দিন ছিল ১৭ মার্চ, ১৯৭৫। দেশের জন্য অবদান রাখা মানুষদের সেইদিন দেওয়া হয় বঙ্গবন্ধু পুরস্কার - ১৯৭৪, বিদেশী কূটনীতিকদের সাথে সাক্ষাতের পর পরই বঙ্গবন্ধু ছুটে গেলেন তাকে শুভেচ্ছা জানাতে আসা স্কুলের শিশুদের কাছে। তারা গানে গানে আর কবিতা আবৃত্তি করে বঙ্গবন্ধুকে জানালো তাদের ভালোবাসা। একজন রাষ্ট্রপতি এরকম সাদামাটা ভাবে মানুষের সাথে মিশে যেতে পারে তা না দেখলে বুঝার উপায় নেই।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের পর, সামরিক শাসকেরা বঙ্গবন্ধুর স্মৃতিবিজড়িত এরকম অনেক তথ্য চিরতরে মুছে দেওয়ার চেষ্টা করেছিল, কিছু ক্ষেত্রে তারা সফলও হয়েছিল। শেষ পর্যন্ত এরকম অনেক দুর্লভ ভিডিও বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভ উদ্ধার করেছে বিভিন্ন উৎস থেকে, ইতিহাসের অনেক ঘটনা এখন জনসম্মুখে আসছে।
স্বাধীনতার মাসে বাঙালি জাতির মহান নেতা, হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি জানাই বিনম্র শ্রদ্ধাঞ্জলি।
একাত্তর/এসি
মন্তব্য
এই নিবন্ধটি জন্য কোন মন্তব্য নেই.