শর্ত সাপেক্ষে আগামী ২৪ মার্চ পর্যন্ত সব ক'টি মামলায় জামিন পেয়েছেন পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) ইমরান খান। শুক্রবার লাহোর হাইকোর্টে সব মামলায় জামিন পাওয়ায় আপতত গ্রেপ্তার হচ্ছেন না তিনি।
এদিন বুলেটপ্রুফ গাড়িতে হাইকোর্টে যান তিনি। আদালত জানায়, ইমরান খানের উচিৎ ছিলো নিজেকে আইনের হাতে সোপর্দ করা। মামলা ভুলভাবে পরিচালনা করেছেন তিনি। জবাবে ইমরান খান বলেন, তিনি আইনের শাসনে বিশ্বাস করেন।
তিনি আরও বলেন, আদালতে হাজির হবেন না, এটা ভাবতেও পারেন না। আদালতে হাজির না হওয়ার বিষয়ে বলেন, তিনি হত্যা চেষ্টার শিকার হয়েছেন। ইসলামবাদ আদালতে হওয়া আত্মঘাতী হামলার বিষয়ও উল্লেখ করেন তিনি।
এর আগে তিনি অভিযোগ করেন, পুলিশ হেফাজতে নির্যাতন করে রাষ্ট্র তাকে হত্যা করতে চায়। ২০১৮ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী থাকাকালে রাষ্ট্রীয় উপহার বেআইনিভাবে বিক্রির অভিযোগে দুর্নীতির মামলার মুখোমুখি ইমরান খান।
পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে গ্রেপ্তার নিয়ে সম্প্রতি লাহোরের জামান পার্কে ইমরান খানের বাড়ি কার্যত যুদ্ধক্ষেত্রে পরিণত হয়। গত মঙ্গলবার রাতে তাঁর বাড়ির কাছে পৌঁছে যায় পুলিশ। কিন্তু পুলিশকে বাধা দিতেই হাজির হন তাঁর সমর্থকরা।
ইট-পাথরের বৃষ্টি শুরু হয় পুলিশের উপরে। পুলিশও পাল্টা ছুঁড়তে থাকে টিয়ারসেল-জলকামান। সব মিলিয়ে পরিস্থিতি রীতিমতো অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে। শেষ পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টার উত্তেজনা শেষে পিছু হটে পাকিস্তান পুলিশ। দ্বিতীয়বারের মতো খালি হাতে ফিরে যায় পুলিশ।
এরপরই লাহোর হাইকোর্ট নির্দেশ দেয় বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ইমরানকে গ্রেপ্তার করা যাবে না। পরে সেই মেয়াদও বাড়ানো হয়। এবার খারিজই হয়ে গেলো ওই পরোয়ানা। আদালত নতুন কোনও নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত পুলিশ কোনও পদক্ষেপ নিতে পারবে না ইমরানের বিরুদ্ধে।
একাত্তর/এআর
মন্তব্য
এই নিবন্ধটি জন্য কোন মন্তব্য নেই.