কৃষ্ণসাগর অঞ্চলে রুশ জঙ্গি বিমানের বাধার মুখে একটি মার্কিন নজরদারি ড্রোন পানিতে পড়ে ডুবে যাওয়ার ঘটনার পর, ওই অঞ্চলে আবারও নজরদারি ড্রোন ফ্লাইট চালু করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
শুক্রবার (১৭ মার্চ) দুই মার্কিন কর্মকর্তার বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
গতকাল মার্কিন সামরিক বাহিনী ওই এলাকায় একটি আরকিউ-৪ গ্লোবাল হক পাঠায়। এমকিউ-নাইন রিপার ড্রোনটি যেখানে বিধ্বস্ত হয়েছিল তার থেকে প্রায় ১০০ কিলোমিটার দূরে এই ড্রোন ওড়াউড়ি করে।
ফ্লাইট ট্র্যাকিং সাইট বলছে, আরকিউ-ফোর গ্লোবাল হক ড্রোন দক্ষিণ এবং পূর্বে যাওয়ার আগে রোমানিয়ার আকাশ সীমায় চক্কর দেয়। ড্রোনটি কৃষ্ণ সাগরের পূর্ব অংশে কয়েকবার পাক দিয়েছে তবে কখনোই ক্রিমিয়া ভূখণ্ডের ১০০ কিলোমিটারের কাছে যায়নি। কৃষ্ণ সাগরের অংশে এই ড্রোনের মিশন স্থায়ী হয় মাত্র দুই ঘন্টা। এর আগে সেখানে সাধারণত ১২ ঘন্টা ওড়াউড়ি করতো।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন মার্কিন কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে গ্লোবাল হক-ফোর ড্রোনের মিশন পরিচালনার কথা নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, গত মঙ্গলবার ড্রোন বিধ্বস্তের ঘটনার পর এই প্রথম এ ধরনের ফ্লাইট পরিচালনা করা হলো। তবে, এর আগে পেন্টাগন বলেছিল যে, রাশিয়ার নৌ বাহিনীর তৎপরতা পর্যবেক্ষণের জন্য কৃষ্ণসাগরে আবারো ড্রোন পাঠানো হয়েছে।
এদিকে কৃষ্ণসাগরে যুক্তরাষ্ট্রের একটি এমকিউ-নাইন ড্রোনকে বাধা দিয়ে ডুবিয়ে দেওয়া এসইউ-২৭ যুদ্ধবিমানের পাইলটদের পুরস্কৃত করেছে রাশিয়া। শুক্রবার (১৭ মার্চ) ওই দুই রুশ পাইলটকে পদক তুলে দেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই শোইগু।
রাশিয়া দাবি করেছে, ড্রোনটির সঙ্গে রুশ যুদ্ধবিমানের কোনও সংস্পর্শ ঘটেনি। এই দাবি প্রত্যাখ্যান করেছে ওয়াশিংটন।
একাত্তর/আরবিএস
মন্তব্য
এই নিবন্ধটি জন্য কোন মন্তব্য নেই.