চলচ্চিত্র নায়িকা মাহিয়া মাহি ও তার স্বামী রকিব সরকারের বিরুদ্ধে দুটি মামলা করেছে পুলিশ। গাজীপুর মেট্রোপলিটনের বাসন থানায় মারধর, চাঁদাবাজি ও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে এসব মামলা দায়ের করা হয়। এসব মামলায় গ্রেপ্তার হয়েছেন মাহি। তবে স্বামী রকিব পলাতক।
শনিবার (১৮ মার্চ) সকালে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে নায়িকা মাহিয়া মাহিকে গ্রেপ্তার করে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ। এ অভিযানে নেতৃত্ব দেন জিএমপি গোয়েন্দা বিভাগের ডেপুটি কমিশনার ইব্রাহিম হোসেন। তার কাছ থেকেই জানা গেলো মাহির গ্রেপ্তারের ঘটনা।
তিনি জানান, ওমরা পালন করতে মাহি সৌদি আরব গিয়েছিলেন। শনিবার দেশে ফিরবেন এমন খবরে শনিবার ভোর থেকে জিএমপি গোয়েন্দা বিভাগের দলটি বিমানবন্দরে অবস্থান নেয়। বেলা ১১টা ৫০ মিনিটের দিকে কালো বোরকা পরে হযরত শাহজালাল বিমানবন্দরে নামেন তিনি। এরপর বেলা ১২টার দিকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এছাড়া গাজীপুর মহানগর পুলিশ কমিশনার মোল্লা নজরুল ইসলাম জানান, সকালে চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি সৌদি আরব থেকে দেশে ফিরেন। ফ্লাইট থেকে নামার পর বিমানবন্দর থেকেই তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। একই ফ্লাইটে তার স্বামীর দেশে আসার কথা ছিলো। কিন্তু তিনি পালিয়ে থাকার জন্য সৌদি আরবে রয়ে গেছেন।
এর আগে শুক্রবার রাতে তাদের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দুটি করে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ। ওই দিন রাতে বাসন থানার উপপরিদর্শক (এসআই) রোকন মিয়া বাদি হয়ে এ মামলা করেন। এ ছাড়া জমিদখলের অভিযোগে তাদের বিরুদ্ধে হুকুমের আসামি করে আরও একটি মামলা করেন স্থানীয় বাসিন্দা ইসমাইল হোসেন।
সৌদি আরব থেকে শুক্রবার সকালে ফেসবুক লাইভে স্বামী রাকিব সরকারের গাড়ির শোরুমে হামলা ও ভাঙচুরের অভিযোগ করেন মাহি। তিনি লাইভে বলেন, তার স্বামীর গাড়ির শো-রুম সনিরাজ কার প্যালেসের গেট ভেঙে ইসমাইল হোসেন ও মামুন সরকারের নেতৃত্বে হামলা ও ভাঙচুর হয়। এছাড়াও গাজীপুর পুলিশের বিরুদ্ধে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ করেন মাহি।
মাহি ফেসবুক লাইভ করার পর স্থানীয় ইসমাইল হোসেন এক সংবাদ সম্মেলন করে অভিযোগ তুলেন, রাকিব সরকার তার প্রায় সোয়া ১১ শতাংশ জমি দখল করে গাড়ির শো-রুম করেছে। সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে তিনি এ বিষয়ে অভিযোগ দিয়েছেন।
বিষয়টি মীমাংসার জন্য চেষ্টা করা হয়। শুক্রবার ভোররাতে রাকিব সরকারের লোকজন ওই শো-রুমে নতুন কিছু গাড়ি উঠাতে থাকে। খবর পেয়ে আমিসহ (ইসমাইল) কয়েকজন সেখানে যাই। এ সময় রকিব সরকারের লোকজন আমাদের ওপর হামলা চালায়। তারা নিজেরা শো-রুম ভাঙচুর করেছে। জমি ছেড়ে দেয়ার শর্তে রাকিব আমার কাছে এক কোটি টাকা দাবি করে।
একাত্তর/এসি
মন্তব্য
এই নিবন্ধটি জন্য কোন মন্তব্য নেই.