চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহিকে মাহিকে ডিজিটাল নিরাপত্তা
(আইসিটি) আইনের মামলায় গ্রেপ্তার করার পর তাকে নেয়া হয় গাজীপুরে জিএমপি কার্যালয়ে। সেখান থেকে মাহিমা
মাহিকে নেয়া হয় গাজীপুরের জেলা আদালত। পরে মাহিকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন
গাজীপুর মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ইকবাল হোসেন।
গ্রেপ্তারের পর এক সংবাদ সম্মেলনে গাজীপুর মহানগর পুলিশ
কমিশনার মোল্লা নজরুল ইসলাম জানিয়েছেন, চিত্রনায়িকা মাহি
দেশে ফেরার পর বিমানবন্দর থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। মাহির স্বামী রকিব সরকার
এখনো পলাতক।
কেন মাহিকে রিমান্ডে নেয়া হলো না, এমন প্রশ্নের জবাবে
এই পুলিশ কর্মকর্তা জানান, যেহেতু তিনি প্রেগনেন্ট, তাই আমরা
তার রিমান্ড চাইনি। গ্রেপ্তারের পর তাকে আদালতে নেওয়া হয় সেখানে থেকে তাকে কারাগারে
পাঠানো হয়।
চিত্রনায়িকা মাহি, গাজীপুর বাসন থানার সামনে গাড়িতে
বসা অবস্থায় সাংবাদিকদের উদ্যেশ্যে করে বলেন, ওরা আমাকে টর্চার
করছে। এ সময় মাহিকে কালো বোরকাতে দেখা গেছে।
থানা থেকে মাহিকে নেয়া হয় গাজীপুর মূখ্য মহানগর হাকিম আদালতে নেয়া হয়। সেখান থেকে মাহিকে কারাগারের নেয়ার সময়ও গণমাধ্যমকর্মীদের উদ্দেশ্য করা বলেন, মাহি।
আরও পড়ুন: মাহিয়া মাহী ও তার স্বামীর বিরুদ্ধে দুই মামলা
আদালত থেকে পুলিশ পাহারায় বের হওয়ার সময় নায়িকা
মাহিয়া মাহি সাংবাদিকদের উদ্দেশে বলেন, জজ আমার সঙ্গে কোনো কথা বলেননি। তিনি
বসেছেন আর উঠেছেন। এক সেকেন্ডের মধ্যে কিভাবে আদালত শেষ হয়ে যায় বলে প্রশ্ন বলেও
প্রশ্ন রাখেন মাহি।
শনিবার সকালে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে
মাহিকে গ্রেপ্তার করে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ। শুক্রবার রাতে মারধর, চাঁদাবাজি ও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মাহিয়া মাহি ও তার স্বামী রাকিব
সরকারের বিরুদ্ধে গাজীপুর মেট্রোপলিটনের বাসন থানায় দুইটি মামলা দায়ের করা হয়। ওই
দুই মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
একাত্তর/আরবিএস
মন্তব্য
এই নিবন্ধটি জন্য কোন মন্তব্য নেই.